কল্পনা গুপ্ত, চিন্তন নিউজ, ১২ ই নভেম্বর ২০২০ – বিহারে শেষ অবধি এন ডি এ’র জয় হলো। কিন্তু গণনার শেষ দু’তিন ঘন্টায় এমন কিছু হয়েছে যে প্রায় জেতার মুখে মহাজোট পিছিয়ে গেলো। এন ডি এ’র অবস্থা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় ভোট কমেছে ১২ শতাংশ যাকে এগিয়ে যাওয়া বলে না। এই পরিস্থিতিতে বিহারের নির্বাচন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সি পি আই এমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, “বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যাবো “। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই নির্বাচনে বামদলগুলির সাফল্য উল্লেখযোগ্য।
সীতারাম ইয়েচুরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বিহার প্রসঙ্গে মোদীর সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের বক্তব্যেই ছিলো বিশেষ প্রাধান্য। তাঁর বক্তব্যে দেশের আর কোন সমস্যাই উঠে আসেনি। তার সরকারের অপরিকল্পিতভাবে লকডাউন ঘোষণা, পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্ভোগ, কাজ হারানো মানুষের বেঁচে থাকার যন্ত্রণা কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি- কোনকিছুই মোদীকে ভাবিত করেনি, কারণ তাদেরই তৈরি কৃষকমারা বিল, শ্রমিক বিরোধী শ্রম আইন। তাই দেশে একমাত্র সাম্প্রদায়িকতাই ভাববার বিষয় বলে মোদী মনে করে থাকেন।
যে দলিতদের ভোট এন ডি এ’কে সরকার গড়তে সাহায্য করলো (মোদীর বক্তব্যে) সেই দলিতদের ওপর বিজেপির উচ্চ বর্ণের নৃশংস বর্বরোচিত অত্যাচার এখন নিত্যদিনের ঘটনা, হাতরাসে যুবতীর গণধর্ষণে সরকারের কিছুই যায় আসেনি। ইয়েচুরি বলেন,” তবু্ও তিনি দাবি করছেন বিহারে মহিলাদের, দলিতদের সমর্থন পেয়েছেন। মিথ্যেবাদীরা সবসময়েই প্রতারণাকে নতুনমাত্রায় নিয়ে যায়। যা খুবই লজ্জার।”
ইয়েচুরি আরো বলেন, ” অপরিকল্পিত লকডাউন এবং অর্থনীতি ধ্বংসের কারণে কোটি কোটি মানুষের জীবনের দুর্দশা নিয়ে মোদী কোন কথা বলতে অস্বীকার করেছেন। বিহারে কোথাও তিনি মানুষের বেকারত্ব, ক্রমবর্ধমান খিদে, যন্ত্রণা, সংকটের কথা বলেননি।” তাই এই প্রতারণামূলক প্রচারের ফলে এন ডি এ’র এই জয়কে ভুখা মানুষ মনের ভেতর থেকে কতদিন সমর্থন করবে ভবিষ্যৎ সেকথার উত্তর দেবে।