সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১লা অক্টোবর:-দিনের পর দিন বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। আর এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেল আনলক পাঁচ।।যেখানে দিনের পর দিন করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তখন একেরপর এক সেক্টর উন্মোচন করে লাভের চেয়ে ক্ষতি হচ্ছে বেশী–এটা আনলক পর্ব এর প্রথম থেকেই প্রমাণিত হয়েছে। এবার আনলক পর্বে খুলে দেওয়া হচ্ছে সিনেমা হল , সুইমিং পুল সহ একাধিক ক্ষেত্র।৫০%শতাংশ এর কম জনগণ নিয়ে খুলতে চলেছে সিনেমা হল, থিয়েটার হল এবং বিভিন্ন ম্লালটিপ্লেস। তবে দর্শক সংখ্যা থাকবে ৫০ শতাংশ। ৫ ই অক্টোবর থেকে খোলা যাবে হোটেল, রেস্তোরাঁ বা বার। কিন্তু সেখানেও ৫০ শতাংশ লোকের বেশি ঢোকার অনুমতি নেই। মহারাষ্ট্রে ৩১ শে অক্টোবর যখন মোটামুটি সব বন্ধ থাকছে তখন ওডিশা তে খুলে দেওয়া হচ্ছে চিড়িয়াখানা। যে সমস্ত জায়গায় অনুমতি রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সেখানে বিমান চলাচল এর ক্ষেত্রে কোন বাঁধা নেই।
রাজ্যগুলোর উপরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে নিজ নিজ রাজ্যের বিদ্যালয় খোলা যাবে তবে কেন্দ্র এর যে গাইডলাইন আছে তা মেনে চলতে হবে।।আনলক পাঁচ পর্বে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষনা করা হয়েছে। তা হলো এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার কোন বাঁধা থাকলো না। মালপত্র নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোন বাঁধা থাকলো না।যতখুশি মালপত্র নিয়ে এক রাজ্য থেকে অন্য। রাজ্যে যেতে পারবে জনসাধারণ। এদিকে পরিসংখ্যান জানিয়েছেন যে গতকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টা তে করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হলেন ৮০ হাজার ৪৭২ জন।। মৃত্যু হয়েছে ১১৭২ জনের। এদিকে খবরে প্রকাশ করোনা ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ লক্ষ ২৫ হাজার ৪৬৪ জনের।। এর মধ্যে আ্যক্টিভ কেশ ৯ লক্ষ এর কাছাকাছি।। সুস্থতার সংখ্যা ৫১ হাজার এর কাছাকাছি।।স্বাস্ব্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৯৭ হাজার ৪৯৭ জনের।।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন আজ, বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যের সমস্ত সিনেমা হল, থিয়েটার এবং নাট্যমঞ্চ খুলে যাবে। আর এবার তাতে কিছুটা সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে দেশ জুড়ে সমস্ত সিনেমা হল, মাল্টিপ্লেক্স ও থিয়েটার খুলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
তবে আনলক ৫ এও চালু হ’ল না ট্রেন। এই ট্রেন চালু নাহ’লে নিম্নবিত্ত সাধারণ মানুষ থেকে ছাত্রছাত্রীরা কিভাবে তাদের দৈনন্দিন কাজ/পড়াশোনা র প্রতিষ্ঠানে পৌঁছবেন তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
এদিকে সেরো সার্ভেতে উঠেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।প্রতি ১০ বছর বয়সী ১৫ জন শিশুর মধ্যে অন্তত ১ জন করোনা আক্রান্ত হচ্ছে,।এমতাবস্থায় স্কুল কলেজ খোলার পরিণতি কি হ’তে পারে তা নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞ মহল। তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গে দুর্গা পুজো, সারাদেশে দেওয়ালী,ছটপুজো ইত্যাদি অনুষ্ঠানে মানুষের জমায়েতে বাধানিষেধ উল্লিখিত না থাকার কারণে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।