সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:২৯ শে জুলাই :- রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন নিয়ে চিন্তা ছড়িয়েছে।। ২০২০-২১ আর্থিক বছরে পেনশন বাবদ প্রায় ৫৩ হাজার কোটি টাকা কিভাবে আসবে তা নিয়ে শঙ্কা রেলের অভ্যন্তরে।। এই খবরে প্রকাশ্যে চলে এসেছে রেলের আর্থিক স্বাস্থ্য। এই লকডাউন এবং রেলের বেসরকারি করণের উদ্যোগের জন্য ভুগতে হবে হাজার হাজার অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মীদের বলে আশঙ্কা। লকডাউন পর্বে রেলের আয় তেমন কিছুই হয়নি।। পন্যবাহী ট্রেন চললেও রেলের স্বাভাবিক সময়ে যা আয় হয় সেই লক্ষমাত্রার ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেনি রেলের আয়। পুরো দেশে যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ।।
কেন্দ্রীয় সরকার বারবার প্রায় বিনা নোটিশে লকডাউন এর মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে আর তার ফলে রেলকে বারবার বুকিং এর টাকা যাত্রীদের ফেরত দিতে হয়েছে।। বুকিং ছাড়াও বিজ্ঞাপন ও আরও নানা ক্ষেত্র থেকে রেলের আয় হয়।। লকডাউন এর জেরে সেই আয় একেবারেই হয়নি।। ফলে রেলের জমানো টাকা কমেছে।। এই পরিস্থিতিতে যদি রেলকে ৫৩ হাজার কোটি টাকা পেনশন খাতে খরচ করতে হয় তবে রেলের উন্নয়ন খাতে তেমন কোন টাকাই থাকবে না বলে রেলকর্তাদের আশঙ্কা।। রেল আর কোন উপায় না দেখে পেনশন বাবদ যে টাকা খরচ হবে তার জন্য অর্থদপ্তরের দ্বারস্থ হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ।।তার চেয়েও বড় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কর্তারা তা হল এখন লকডাউন পরিস্থিতি যদি আরও বেশীদিন চলে তবে কর্মী দের বেতন নিয়েও সংশয় তৈরি হবে।। তবে এখনই বেতনের ভার নিতে পারবে না বলে এমন কোন কথা জানানো হয়নি, বলে জানা গিয়েছে।।
ইস্টার্ন রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ খেদের সঙ্গে জানিয়েছেন যে সরকার কর্মীদের কথা কিছুই না ভেবে রেল যে ক্ষেত্রগুলো থেকে আয় করে সেগুলো বেসরকারি হাতে তুলে দিচ্ছে।। কেন্দ্রীয় সরকার এর এই মারাত্মক ভুল সিদ্ধান্ত এর জন্য সাধারণ রেলকর্মীরা তাঁদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হবার মুখে পড়েছে। আর এক রেলওয়ে ইউনিয়নের সভাপতি বিনোদ শর্মা জানান যে রেলকর্মীদের বেতন থেকেই টাকা কাটা হয় অবসরকালীন পেনশন এর জন্য।। কিন্তু পেনশন নিয়ে এই যে মারাত্মক শঙ্কা তৈরি হয়েছে তা রেলের বেসরকারিকরণ এর জন্য।