রাহুল চ্যাটার্জি: চিন্তন নিউজ:১৬ই জানুয়ারি,২০২১:– শিক্ষাকর্মী, শিক্ষকের পর এবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্যের কোপ এর মুখে পড়লেন স্নাতকোত্তর স্তরের অর্থনীতি বিভাগের দুই প্রতিবাদী ছাত্র। বিশ্বভারতীর ছাত্র, তথা এসএফআই বীরভূম জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সোমনাথ সৌকে সাসপেন্ড করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বাম ছাত্র সংগঠনটির কর্মীরা একে “ছাত্রদের উপর ফ্যাসিস্ট উপাচার্য এর কোপ” বলেই ব্যাখ্যা করেছেন। সাসপেন্ড করা হয়েছে বিশ্বভারতীর আরেক প্রতিবাদী ছাত্র ফাল্গুনী পানকেও।
এই পরিপ্রেক্ষিতে এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই বীরভূম জেলা কমিটি, কেন্দ্রের ফ্যাসিস্ট সরকারের দিল্লি থেকে বঙ্গে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন প্রতিবাদী কন্ঠ বলপূর্বক চুপ করিয়া দেওয়ার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার ডাক দিয়েছে। এই ঘটনার কারণে ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি জেলার সর্বত্র লোকাল কমিটির উদ্যোগে এলাকায় এলাকায় পোষ্টারিং, পথসভা এবং বিভিন্ন কর্মসূচি’র মাধ্যমে প্রতিবাদ সংগঠিত করার ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
এসএফআই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি আরও সুর চড়িয়ে জানিয়েছে, এরাজ্য তথা এদেশের গর্ব বিশ্বভারতীর মেলার মাঠে প্রাচীর নির্মাণ, প্রকাশ্যে সিএএ সমর্থনে জনমত চেষ্টা, অমিত সাহের মত একজন সাম্প্রদায়িক রাজনীতিবিদ কে বিশ্বভারতীতে সর্বোচ্চ সম্মান জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে বর্তমান উপাচার্য তাঁর চাটুকারিতার নিদর্শন রেখেছেন এবং এটি বিশ্বভারতীর গরিমায় আঘাত। এছাড়াও প্রেস বিবৃতিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের প্রতি উপাচার্যের বক্তব্য ও আচরণের তীব্র নিন্দা করেছে সংগঠনটি। অন্যায়ভাবে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক ও ছাত্রদের অবিলম্বে সসম্মানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফেরানোর দাবী জানিয়েছেন তাঁরা নতুবা এই যথেচ্ছাচার এর প্রতিবাদে ছাত্রসমাজের বৃহত্তর আন্দোলনে হাঁটার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।এক্ষেত্রে দেশের সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষজন পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন বলেও আশা ব্যক্ত করেছেন সংগঠনের সভাপতি-সম্পাদক উভয়েই।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এদিন প্রক্টর এর পক্ষ থেকে নোটিশ জারি করা হয় ওই দুই ছাত্রকে কমপক্ষে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করার কারণ দর্শিয়ে। যেখানে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অভিযোগ এনেছেন যে গত ৯.১.২১ তারিখ প্রতিবাদ চলাকালীন ওই দুই ছাত্র অর্থনীতি বিভাগের একটি সিল/তালা জোর করে ভাঙার চেষ্টা করেন যা একজন শিক্ষকের ও সেই ইস্যুটিও বর্তমানে কর্তৃপক্ষের বিচারাধীন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ই জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য কেও সাসপেন্ড করা হয় পাঠভবনের অধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগ সামাজিক মাধ্যমে করার জন্য ।