কলমের খোঁচা

একুশ আমার, একুশ তোমার একুশ একাত্তর,


দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা থেকে দেবু রায়ের প্রতিবেদন..চিন্তন নিউজ:৩১শে অক্টোবর:- দেখতে দেখতে আজ আমাদের ঋষি রাজনারায়ণ বসু শ্রমজীবী ক‍্যান্টিন – সোনারপুর পশ্চিম, সরলদীঘি, বোড়াল ২১দিন অতিক্রম করল।

“একুশ আমার, একুশ তোমার একুশ একাত্তর, একুশেই ফিরে আসুক লাল সাতাত্তর”। একুশেই ওপার বাংলা উত্তাল হয়েছিল, সেটা ছিল একুশে ফেব্রুয়ারি। বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে আনতে।

একুশ প্রমাণ করেছিল ধর্মই সব নয় মানুষের অধিকার আগে, মায়ের ভাষায় কথা বলা আগে। তারপর সব। একজন বাংলাভাষী মানুষ হিসেবে একজন বাঙালি হিসেবে আমি গর্বিত। তাই আমরা এই একুশের সাথে একাত্মতা অনুভব করি।

নীচে ছবিতে একজন নাম বললেন শ‍্যামল কুমার বিশ্বাস ক‍্যান্টিন থেকে খাবার কিনে পাশেই একটা মাঠের পাশে গাছতলায় বসে খাচ্ছেন। সামনে একটা কুকুর বসে। নিজে খাচ্ছেন, কুকুরটিকেও খাওয়াচ্ছেন। এই দৃশ্য আড়াল থেকে দেখে ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারলাম না।

পশুপ্রেমীরা দেখুন, শিখুন। কুকুরকে খাইয়ে ছবি তুলে পশুপ্রেমী না সেজে মানুষকে খাওয়ান। এরাই ওদের খাওয়াবে।

কমরেড সীতারাম ইয়েচুরি বলছেন, বামপন্থীরাতো বলবেই। রাহুল গান্ধী বলছেন, বড়ো বড়ো অর্থনীতিবিদরা বলছেন গরিবকে খাওয়াও ওরাই দেশকে বাঁচাবে। গরিবের হাতে টাকা দাও। ওরা ওদের প্রয়োজনের জিনিস কিনবে। চাহিদা বাড়বে। বাজারে বিক্রি বাড়বে। কারখানায় উৎপাদন বাড়বে। কর্মসংস্থান বাড়বে। এইভাবে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। দেশ বাঁচবে।

কিন্তু এসব কি ধর্মের বিভাজনে জনগণকে ব‍্যস্ত রাখা বধির মোদীর সরকার শুনবে? রাজ‍্যের সরকার শুনবে?
কবি রফিক আজাদের মতো চেঁচিয়ে বলতে ইচ্ছে করে—

‘”আমার ক্ষুধার কাছে কিছুই ফেলনা নয় আজ
ভাত দে হারামজাদা,
তা না হলে মানচিত্র খাবো।’


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।