চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:২৭শে জানুয়ারি:—‘ম্যারি ইয়োর রেপিস্ট’ নামক একটি অসম্মান জনক বিল পাশ করতে মরীয়া তুরস্ক সরকার।। ধর্ষণ আর কোনো অপরাধ নয়, ধর্ষিতা নাবালিকাকে বিয়ে করলেই মাফ করে দেওয়া হবে তার জঘন্যতম অপরাধটি।এমনই একটি লিঙ্গ বৈষম্যমূলক আইন আনতে চলেছে তুরস্কের ক্ষমতাসীন ‘জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি’।
ধর্ষণ একটি অত্যন্ত ঘৃণ্য অপরাধ।সেই অপরাধীকে বাধ্যতামূলক ভাবে বিয়ে করতে রাজী হতে হবে নাবালিকাটিকে। সব ঠিক থাকলে চলতি জানুয়ারির শেষেই পার্লামেন্টে উঠতে চলেছে ঐ বিতর্কিত বিলটি।এরমধ্যেই এই বিলটি নিয়ে প্রতিবাদে সরব তুরস্কের অন্যতম বিরোধী দল বামপন্থী ‘পিপ্ লস ডেমোক্রেটিক পার্টি’।তাদের বক্তব্য এই বিলটি আইনে পরিনত হওয়ার অর্থ একদিকে ধর্ষণের মতো ঘৃন্য অপরাধ করেও ধর্ষকরা ছাড় পেয়ে যাচ্ছে কোনো শাস্তি ছাড়াই, আবার অন্যদিকে এই আইনটি নাবালিকা বিয়েকে আইন সিদ্ধ করে দেবে, যা সমাজের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর।
এই আইনটি নিয়ে বিশ্বজুড়ে শোরগোল পড়েছে, আঙ্কারার পথে নেমেছে একাধিক নারী অধিকার রক্ষা সংগঠন। রাষ্ট্রপুঞ্জও এই আইনটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, আইনটি কার্যকর হলে আরও বেপরোয়া হবে ধর্ষকরা।বাড়বে যৌননিপীড়ন। কিন্তু এখানকার পিডিপি সরকার বিলটি নিয়ে কোনো বিতর্ক ও আলোচনায় নারাজ।মানবাধিকার সংগঠনের কর্মী আবু দাহেদ বলেন যে এই বিলটির দিকে সবার নজর রয়েছে। তুরস্কের নারী অধিকার কর্মীদের আন্দোলন কে কুর্ণিশ।
‘ম্যারি ইয়োর রেপিস্ট’ বিলটি পেশ করতে মরীয়া সরকার।তাদের মতে পশ্চিম এশিয়া ,উত্তর আফ্রিকা র অনেক দেশেই আইনটি বলবৎ রয়েছে।এর আগেও আইনটি আনার প্রচেষ্টা হয়েছিল। গত একদশকে যেভাবে নাবালিকা বিবাহ (৫লক্ষ)বেড়েছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই ‘সলিশি আইন’ টি রুখে দেওয়া সম্ভব হবে।