চৈতালি নন্দী: চিন্তন নিউজ:২৩শে আগস্ট:- প্রাকৃতিক জ্বালানির বিশাল মজুদ ভান্ডারের খোঁজ পেলো তুরস্ক। দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন জায়গায় সম্পূর্ণভাবে সরকারি উদ্যোগে খননকাজ চালাচ্ছিল তুরস্ক। অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখলো তারা। নতুন আবিষ্কৃত গ্যাসের খনিটিতে অন্তত ৩২০ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পরিমাণ আরও বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। শুক্রবার একথা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইএব এরদোগান।
বিবিসি সূত্রে জানা গেছে কৃষ্ণসাগরের পশ্চিম উপকুল থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইল দূরে টুনা-ওয়ান জোনেই খুঁজে পাওয়া গেছে জ্বালানির এই ভান্ডার টি, যা আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে তুরস্কেকে আগামী ২০ বছরের জন্যে জ্বালানি স্বনির্ভর করে দেবে। তাছাড়াও জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে উঠে আসতেও সাহায্য করবে। এটা তুরস্কে এক নতুন যুগের সূচনা করবে বলে মনে করেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। ২০২৩ নাগাদ এই গ্যাস উত্তোলন শুরু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এই গ্যাস উত্তোলন ও তা রপ্তানির পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ব্যয় হতে পারে কয়েকশো কোটি ডলার।
তুরস্কের ইতিহাসে এতোবড় গ্যাসক্ষেত্র এর আগে পাওয়া যায়নি। নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারে দুটি খননকারী জাহাজ নাগাড়ে অনুসন্ধান চালিয়ে এই সাফল্য অর্জন করেছে। তারা পূর্ব ভূমধ্যসাগরেও এই খননকাজ অব্যাহত রাখতে আগ্রহী, যা নিয়ে আঙ্কারার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছে গ্রীস ও ফ্রান্স। এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেও। কিন্তু এইসব চাপকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তুরস্ক।