রত্না দাস:চিন্তন নিউজ:২৮শে মার্চ:–বিদ্বেষ ভুলে জিনপিংকে ফোন ট্রাম্পের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনা ভাইরাস নিয়ে এতদিন চীনের উপর রীতিমতো আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন। কিন্তু নিজের দেশে সংক্রমণের হার বাড়তেই সুর নরম করলেন তিনি। সমস্ত বিবাদ ভুলে ট্রাম্প তার চিরশত্রু চীনকে ফোন করে ফেললেন এবং মারক ভাইরাসের মোকাবিলায় একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এই মারণ ভাইরাসের উৎস স্থল কোথায় তা নিয়ে এতদিন দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি চলছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পেম্পে অভিযোগ করছিলে যে এই মানব ভাইরাসটি জৈবিক অস্ত্র হিসাবে তিনি তৈরি করেছে। তারা এই করোনা ভাইরাস কে ‘ চীনা ভাইরাস ‘ নাম দেয়। কিন্তু চিনও এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে।
কিন্তু এই সংঘাতের আবহেই ট্রাম্প সুর নরম করে ইঙ্গিত দেন প্রয়োজনে চীনের প্রেসিডেন্টের সাথে কথা বলবেন তিনি। শনিবার টুইট করে তিনি নিজেই জানালেন জিনপিংয়ের সাথে তার কথা হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘ বিশ্বের একটা বড় অংশে করোনাভাইরাস দাপট দেখাচ্ছে। এই ভাইরাস নিয়ে অনেক কিছু জানে ওরা। শুরু থেকে এর মোকাবিলা করে আসছে চীন ।এই নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্টের সাথে কথা হয়েছে। আমরা খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব এবং এই ভাইরাসের মোকাবিলা করবো ‘।
কূটনৈতিকদের মতে ট্রাম্প আসলে মার্কিন মুলুকের সংক্রমণের হার নিয়ে উদ্বিগ্ন। আর চীনের সাহায্য ছাড়া যে করোনা মোকাবিলা করা সম্ভব নয় তাও তিনি বুঝে গিয়েছেন।তাই তিনি সুর নরম করেছেন বেজিংয়ের প্রতি।
করোনা সংক্রমণের চীন ও ইতালি কে পিছনে ফেলে দিয়েছে আমেরিকা।বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এই মার্কিন মুলুকে।এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে এক লক্ষ মানুষ ।তাই ট্রাম্প উদ্বিগ্ন হয়ে একপ্রকার বাধ্য হয়েছেন জিনপিংয়ের দ্বারস্থ হতে।