সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ১২অক্টোবর: তিন দফা দাবির ভিত্তিতে তিন দিনের ট্রাক ধর্মঘটে নামল রাজ্যের ট্রাক সংগঠন। অপরিকল্পিত লকডাউন পরিস্থিতি আর তার ফলে বহু মানুষের কাজকর্ম বন্ধ। চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ। বাজারে সবজি থেকে শুরু করে আলু, পিঁয়াজ, ডিমের দাম ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তার মধ্যে শুরু হয়ে গেল বাহাত্তর ঘন্টার ট্রাক ধর্মঘট।
আজ সোমবার সকাল থেকে রাস্তায় ট্রাক নামেনি। খবরে প্রকাশ প্রায় ৬ লক্ষ ট্রাক বুধবার পর্যন্ত রাস্তায় নামবে না। একেই লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ তার উপর এই ট্রাক ধর্মঘটে মধ্যবিত্ত মানুষ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা করছে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজার আগে টানা তিন দিনের ট্রাক ধর্মঘটে পাইকারি বাজার থেকে সাধারণ ব্যাবসায়ীদের উপর চরম প্রভাব ফেলবে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া হবে। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত এই তিনদিন চলবে ধর্মঘট।
এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটার্স আ্যসোসিয়েশন। যে তিন দফার দাবীতে ট্রাক ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে রাজ্য সরকার ও ট্রাক সংগঠনের মধ্যে তরজা তুঙ্গে। ট্রাক মালিকদের দাবি গোটা দেশে মোটর ভেহিক্যালস আইন মেনে লরিতে অ্যাক্সেল লোড বৃদ্ধি করা হয়েছে। শুধুমাত্র আমাদের রাজ্যেই তা বৃদ্ধি করা হয়নি। বন্ধ করে দিতে হবে বেশী লোড বহন করা।
এই ধর্মঘটের কারণে ভারতের অন্যান্য রাজ্য যেমন বিহার, উত্তরপ্রদেশ, বেঙ্গালুরু, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি প্রভৃতি রাজ্য থেকে ট্রাক বাংলাতে ঢুকবে না। ফলে এক দীর্ঘ প্রভাব পড়তে চলেছে রাজ্যের বাজারে। জিনিসপত্রের দাম ক্রমশ বাড়বে। আর ট্রাক বন্ধের কারণে এই রাজ্য থেকে কোনো দ্রব্য বাইরের রাজ্যগুলিতে পাঠানো যাবে না। ফলে রাজ্য সরকারের কর আদায় কমে যাবে। করোনা সংক্রমণের আবহাওয়াতে প্রায় সকলেই আর্থিক সংকটে ভুগছে, তার উপর এই ট্রাক ধর্মঘট মানুষকে আরও বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।