রাজ্য

অবাধে চলছে বৃক্ষনিধন প্রশাসন নীরব দর্শক (পান্ডুয়া)।


রত্না দাস :চিন্তন নিউজ:৫ই মার্চ:- সবুজায়নের প্রকল্প হাতে নিয়েছে হুগলি জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন জায়গায় চলছে বৃক্ষরোপণ ও সাথে চলছে গাছের চারা বিতরণ। সেই সঙ্গে সবাইকে বার্তা দিচ্ছে গাছ বাঁচানোর। এই সবগুলি লোকদেখানো প্রকল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ প্রকাশ্যেই রাস্তার ধারের বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে অবাধে। এই নিয়ে উদ্বিগ্ন সেখানকার সাধারণ জনগণ থেকে পরিবেশ প্রেমীরা কিন্তু প্রশাসনের কোনো হেলদোল নেই।
পান্ডুয়া বলাগর মগরা সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার ধারের সব বড় বড় শিরীষ, সোনাঝুরি, লম্বু সহ নানা জাতের বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে।

সেখানকার অধিবাসীদের অভিযোগ প্রশাসন রাজনৈতিক নেতাদের মদত না থাকলে এভাবে গাছ কাটা যায়??প্রকাশ্যে এই কুকর্ম চলছে অথচ বনদপ্তর বা পঞ্চায়েতের নজর নেই এতে। টাকা লেনদেনের জন্যই কি প্রশাসন চুপ??
মগরা থেকে বৈঁচি পর্যন্ত জি টি রোড এর ধারে বিভিন্ন জায়গায় পূর্ত দপ্তরের জমিতেই কাটা হচ্ছে গাছের গুড়ি এবং সেগুলো প্রকাশ্যে বিক্রিও করা হচ্ছে বিভিন্ন পঞ্চায়েত এরিয়াতে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রেতা বলেন নিয়ম বুঝিনা ব্যবসা করি তাই গাছ কাটি । অনেক নেতা রাস্তার ধারের গাছ কাটতে বলেন।গাছ কেটে নেতা কে টাকা দিতে হয়।এই বিষয়ে বনদপ্তর এর ভূমিকা কি?

বনদপ্তরের এক কর্মীর বক্তব্য তিনি এবং আর তার দুই সহকর্মী এই ব্লকের দেখাশুনা করেন।।তাদের গাড়ি নেই তবু গাছ কাটার খবর পেলে ঘটনাস্থলে যান। তারা গেলেই সবাই গাছকাটা ফেলে পালায়। তাদের বক্তব্য তারা বাজেয়াপ্ত করে আনেন গাছ কাটার সব সরঞ্জাম। প্রকাশ্যে গাছ গাছের গুড়ি বিক্রির বিষয়ে তার বক্তব্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে তারা এই ব্যাপারে নজর দেবেন।”

পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বক্তব্য,
বেআইনিভাবে গাছ কাটার ও বিক্রির অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ও বনদপ্তরের সঙ্গে যৌথভাবে অভিযান চালানো হবে।জেলা বনদপ্তরের আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।