কলমের খোঁচা

আজ ড. বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ।


কল্পনা গুপ্ত, নিউজ চিন্তন:১৯শে জুলাই: – অগ্নীশ্বর সিনেমাটি দেখতে বসে বারবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে একজন আদর্শ ডাক্তারের ছবি। ডা. বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের জীবনের জলছবি ধরা আছে তাঁরি লেখা এই উপন্যাসে। ছদ্মনাম বনফুল। সুন্দর নাম। তিনি লিখতেন ছাত্রাবস্থা থেকেই। তাই শিক্ষকদের কাছ থেকে নাম লুকোবার উদ্দেশ্যেই এই ছদ্মনামের আশ্রয় নেন। ১৯ শে জুলাই, ১৮৯৯ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন বিহারের মনিহারীতে। পিতা ডাক্তার সত্যচরণ মুখোপাধ্যায়, মা মৃণালিনী দেবি। কিন্তু তাঁদের আদি নিবাস ছিলো হুগলির শিয়াখালায়। তাঁর ভাই ছিলেন বিখ্যাত চিত্রপরিচালক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়।

সাহেবগঞ্জ জেলার সাহেবগঞ্জ উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে তিনি পড়াশোনা করেন। এরপর কলকাতা মেডিকেল কলেজে ডাক্তারি পড়তে যান। কিন্তু তিনি পাটনা মেডিকেল কলেজ থেকে এম বি ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬৮ সাল থেকে তিনি পাকাপাকি ভাবে কলকাতায় বাস শুরু করেন।

১৯২৫ সালে বনফুল মালঞ্চ পত্রিকায় কবিতা লিখে আত্মপ্রকাশ করেন। রবীন্দ্রনাথের চেয়ে ৩৮ বছরের অনুজপ্রতিম বনফুল কিন্তু তখনকার বিখ্যাত শনিবারের চিঠিতে ব্যঙ্গ কবিতা, প্যারডি ইত্যাদি লিখে সাহিত্য জগতে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছিলেন। তাঁর লেখায় খেটে খাওয়া মানুষের মর্যাদার কথা, বেঁচে থাকার উপায়, মানুষের মনুষ্যত্বের জয়ের কথা, সকল কুসংস্কারকে ভেঙ্গে বেড়িয়ে এসে দেশ গড়ার কথা লেখা আছে।

তিনি অনেক কবিতা, ৫৮৬ টি ছোট গল্প, ৬০ টি উপন্যাস, ৫টি নাটক ও অসংখ্য প্রবন্ধ লিখে গিয়েছেন। তাঁর রচনাসমগ্র ২২টি খন্ডে প্রকাশিত হয়। ভুবন সোম, অগ্নীশ্বর , হাটেবাজারে ইত্যাদি উপন্যাস তাঁর অমর সৃষ্টি। তাঁর জন্মদিনে তাঁর প্রতি চিন্তনের শ্রদ্ধা ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।