দেশ

আজ রাজস্থান দেখলো কৃষক আন্দোলনের অনন্য চেহারা


রাজ্যস্থানের আন্দোলন স্থল থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা- চিন্তন নিউজ:১৩ই ডিসেম্বর:-  আজ ১৩ ডিসেম্বর সকাল থেকে দিল্লি-জয়পুর এন এইচ-৮ নং  জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ রাজস্থানের কৃষকদের দ্বারা। রাজস্থানের মানুষ এক অভিনব সংঘবদ্ধ আন্দোলনের চেহারা দেখলো আজ। স্থানীয় মানুষের মুখে শোনা গেল এরকম কৃষক আন্দোলন রাজস্থানের মাটিতে আগে কখনও হয়নি।

রাজস্থানের পঞ্চায়েত ভোট সদ্য সমাপ্ত হয়েছে। কর্পোরেশন ভোটের ঘোষণা হয়ে গেছে। ক্ষেতের কাজ চলছিল যা সবে শেষ হয়েছে, এই প্রেক্ষিতে রাজস্থানের কৃষকসমাজ কৃষক আন্দোলনে প্রথম থেকে সেভাবে যুক্ত থাকতে পারে নি।  কিন্তু মাত্র কয়েকদিনের উদ্যোগে তারা এই সংঘবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলবে এটা প্রায় অভাবনীয় ছিল।

কৃষক সংগঠনগুলি সারাভারত কৃষক সভা’র নেতৃত্বে আজ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে দিল্লির কৃষক আন্দোলনে যোগদান করার জন্য এগোতে থাকে কিন্তু রাজস্থান -হরিয়ানা বর্ডারে শাজাহপুর টোলপ্লাজাতে হরিয়ানা পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী তাদের আটকে দেয় এবং এন এইচ-৮ এ ব্যারিকেড তৈরি করে। কৃষকরা সেখানেই বসে পড়েন। প্রশাসন হরিয়ানা বর্ডার সীল করে দিলে কৃষকরা সিদ্ধান্ত নেয় তারা হাইওয়েতেই অবস্থান বিক্ষোভ করবে। কৃষকদের সাথে আছেন এআইকেএস এর সর্বভারতীয় নেতৃত্ব হান্নান মোল্লা সহ আমরা রাম, প্রেমা রাম, বলবন্ত সিং পুনিয়ালের মতো নেতৃবৃন্দ।

  উল্লেখযোগ্য বিষয় হ’ল,-  হাইওয়ের দু’পাশে জয়পুর ও আলোয়ার জেলায় কৃষক আন্দোলন কোনোদিন সমৃদ্ধ ছিল না। কিন্তু এখন আন্দোলন স্থল থেকে ২০০-৩০০ কি.মি. দূরবর্তী জেলাগুলোতে যেখানে কৃষক সংগঠন মজবুত যেমন- বিকানীর, হনুমানগড়, শিকার, টুঙ্ক এই সব জেলা থেকে কৃষকরা দলবদ্ধভাবে কোটপুতলিতে এসে জড়ো  হয়।

রাত্রি ১০:৩০ পর্যন্ত খবর, রাজস্থানের প্রচন্ড ঠান্ডায় শতশত কৃষক এন‌এইচ-৮ নং রাস্তাজুড়ে শুয়ে আছেন, তাদের সাথেই আছেন কৃষকসভার নেতৃবৃন্দ। অভূতপূর্ব ঘটনা এই যে, পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলো থেকে সাধারণ মানুষেরা কম্বল, বিস্কুট, জল ইত্যাদি নিয়ে  সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। নিমরাণা থেকে শুরু করে প্রায় ৭/৮ কিমি পথের সমস্ত গাড়ি অবরুদ্ধ হয়ে আছে। আগামীকাল এই জমায়েতের চেহারা আর‌ও বৃহৎ হবে ও এই আন্দোলন আর‌ও দীর্ঘমেয়াদী হবে বলে জানালেন কৃষক নেতৃবৃন্দ।





মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।