মীরা দাস, চিন্তন নিউন, ১৮ ডিসেম্বর: আর পাঁচজন মানুষের মত ওরা স্বাভাবিক সুস্থ নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এরা কেউ সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত, কেউ আর্টিজেম, আবার কেউ ডাউন সিনড্রমে আক্রান্ত। এরা আয়ুশ চৌধুরী, নাছিমুল হোসেন মন্ডল, দিব্যরুপ কর। এরা সবাই শারিরীক প্রতিবন্ধী, এরা কেউ ভালভাবে হাঁটতে পারেনা, কেউ কথা বলতে পারে না, আবার কারো দৃষ্টি শক্তি ক্ষীণ।
কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা ‘বিকল্প বিকাশ’ পুরুলিয়ার জয়চন্ডী পাহাড়ে পাঁচ থেকে একুশ নানা বয়সের ছেলেমেয়েদের নিয়ে হাজীর হয়েছিলেন। কিভাবে পাহাড়ে চড়তে হয়, প্রকৃতিকে চেনা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তিনদিনের শিবির খোলা হয়েছিল।
শিয়ালদার বান্ধব সংস্থা, কামার হাটির ট্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। গত বছর এই স্পেশাল বাচ্চাদের নিয়ে অনুষ্ঠান হয়েছিল, তখন দলে অংশগ্রহন করেছিল তেইশ জন। এ বছর সেটা বেড়ে হয়েছে আটত্রিশজন। এইসব বাচ্চাদের নিজেদের চলার পথে সুস্থ সমাজের কাছে পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ।
ষোলজন প্রশিক্ষক তিনদিন ধরে ওদের শারীরিক ও মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানোর জন্যই প্রশিক্ষন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংস্থার পক্ষ থেকে শ্রী অনির্বান মজুমদার। তিনি জানিয়েছেন যে এই ধরনের উদ্যোগে প্রচুর সমস্যা থাকে। তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অতিক্রম করাটাই আসল কাজ ও চ্যালেঞ্জ।
এই বাচ্চাদের সাথে তাদের অভিভাবকরাও এসেছিলেন। একজন অভিভাবক জানালেন যে তাঁর ছেলে পাহাড়ে চড়বে তিনি তা কল্পনা করতে পারেন নি। তিনি স্বীকার করেছেন যে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে শুধু এই ধরনের সংস্থা। এই ধরনের শিবির ওদের মনোবলকে আরও বহুগুন বাড়িয়ে দিয়েছে।