রাজ্য

মহার্ঘ্য ভাতা’র দাবিতে আমরণ অনশনে তিন


সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১২/০২/২০২৩:- মহার্ঘ্য ভাতা সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য পাওনা। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বছরের পর বছর এই ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছেন সরকারী কর্মচারী দের । অথচ মেলা ,খেলা , কার্নিভাল ইত্যাদি নানা অনুষ্ঠানে সরকারী অর্থ ব্যায় করছে । মহার্ঘ্য ভাতার দাবীতে গত ষোল দিন ধরে ধর্মতলার শহীদ মিনারের পাদদেশে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন । রাজ্য সরকারের হেলদোল না দেখে সরকারী কর্মচারীদের মধ্যে তিন জন আমরণ অনশন শুরু করেছেন । এই তিন সরকারী কর্মচারী পনেরতম দিনে গিয়ে এই চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন ।

এই বিক্ষোভরত কর্মচারীদেরকে রিলে অনশন করতেও দেখা গেছে আর প্রতিকী অনশন করছেন গত দু’ সপ্তাহ ধরে । প্রথমে দুজন কর্মচারী আমরণ অনশন করবেন বলে ঠিক হ’লেও পরে তিন জন এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছে এই পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া তাঁদের আর কোন উপায় ছিল না । মহার্ঘ্য ভাতা সরকারি কর্মচারীদের যেহেতু মৌলিক অধিকার তাই তাঁদের দাবী ন্যায্য কিন্তু সরকার কোনরকম সমঝোতায় আসে নি ।

তাঁরা আরও বলেছেন যে এই অনশণ কর্মসূচি তে আরও অনেকে যোগদান করবেন । পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা জনসভায় ভাষণ দিয়ে বলেছেন যে তৃনমূল সরকার ক্ষমতায় আসলে ত্রিপুরার রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের বছরে দুইবার কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ্য ভাতা দেবেন । পশ্চিমবঙ্গের সরকারী কর্মচারী দের পক্ষ থেকে ত্রিপুরা সরকারী কর্মচারী দের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে যে ভূল পশ্চিমবঙ্গের জনগণ করেছেন সেই ভুল তাঁরা যেন কখনো না করেন । পশ্চিমবঙ্গের সরকারী কর্মচারী রা আরও জানিয়েছেন যে বারো বছর ধরে তাঁরা তাঁদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত।অনশনরত ডিএ আন্দোলনকারী দাবি করেন, তাঁদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ত্রিপুরার সরকারি কর্মচারীরা পালটা পত্র পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন। এমনকি তাঁদের আন্দোলনস্থলেও আসতে চলেছেন ত্রিপুরার সরকারি কর্মচারীরা। এদিকে ধর্মতলায় সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনস্থলে নাগরিক সমাজের অনেক প্রতিনিধিরাই আসছেন। শিক্ষক থেকে শুরু করে মানবাধিকার সংগঠনের কর্তারা গিয়েছেন সেখানে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।