কলমের খোঁচা

এবারে ভিন্ন স্বাদের উৎসব ।


নিজস্ব প্রতিবেদন: চিন্তন নিউজ:২৫শে অক্টোবর:- উৎসবে প্রত্যেকেই একঘেয়েমি জীবন থেকে মুক্ত হয়ে আনন্দে অবগাহন করে। কিন্তু এই অতিমারীর কালো ছায়া উৎসবে পড়েছে। এই অতিমারীতে কাজ হারানো মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাদের ঘরে উৎসবের আলো প্রবেশ করতে পারেনি ।

এহেন পরিস্থিতিতে দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষেরা কেমন আছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু তাদের ঘরের বাচ্চাদেরতো ইচ্ছে করে এই কয়দিন একটু ভালো থাকতে। বাতাসে শিউলির গন্ধ তাদেরও মাতায়। তাই বহরমপুরের মিতা দত্ত ও তাঁর সাথী শ্রাবণী দেবী এই কচিকাঁচাদের নিয়েই এবার উৎসবে সামিল হয়েছেন। তাঁরা দুজনেই বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মী ও শিক্ষিকা। তাঁদের সাথে আছে কৃতা কলা কেন্দ্রের ছেলে মেয়েরা। এই যাত্রায় সামিল হয়েছেন অনেক শুভানুধ্যায়ী। অর্থ দিয়ে নিরন্তর সাহায্য করে চলেছেন। যাঁরা পর্দার ওপাড়ে থেকে এই যাত্রাকে সহজতম করে তুলেছেন ।

স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বৈরগাছির মুসাহার পাড়া যেখানে মায়েরা সকালে মাঠে কাজে যান। প্রতিদিন কাজ মেলে না। বাবা রা নেশাতেই জীবনের সবটা খুৃঁজে পায়। তাই বাচ্চার বাবা নামে, কাজে কম। মায়েরাই সব দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু সেই মায়েদের কাজও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই এই বাচ্চাদের মুখে হাসি ফোটানোর একটু চেষ্টা।

এই কর্মযজ্ঞের কান্ডারী মিতা দত্ত জানাচ্ছেন:- “চলছে বাচ্চাদের সাথে আড্ডা, তাদের মাস্ক বিতরণ ও খাওয়ানো। সব মিলিয়ে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। সবমিলিয়ে এ এক অনন্য অনুভূতি। না কোনো ব্যানার নেই। চলার পথে ব্যানার আসবে। এখন চলার ইচ্ছে হঠাৎ সিদ্ধান্ত । বাচ্চাদের সাথে চলতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হচ্ছে তা মনের মণিকোঠায় গাঁথা থাকবে। দুইদিন হলো আরো দুইদিন আছে। এদের পরিবারের সাথেও পরিচিত হওয়ার ইচ্ছে আছে। যেটুকু পারা যায় মাটির কাছাকাছি যাওয়ার ইচ্ছে।”

এই প্রসঙ্গে মিতা দত্ত আর‌ও বলেন, “ছেলেমেয়েদের মতে এটাই ওদের সেরা পূজো কাটানো। এটাও আমাদের পাওয়া। ছোটোদের মনে এই কাজের বীজ বোনার উদ্দেশ্য সফল। বাকীটা ভবিষ্যতের জন্য তোলা রইলো।”


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।