সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:৫ই অক্টোবর:- বর্তমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সমস্ত স্কুল বন্ধ। কিন্তু বাচ্চাদের আগামী ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পুরো দেশে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পড়াশোনা করার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। আর এই ব্যবস্থায় এগিয়ে এসেছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। আবার ভারতের মতো দেশে যখন প্রতি পেটে খাদ্যের অভাব সেখানে বাচ্চা দের জন্য পড়াশোনা করার জন্য স্মার্টফোন এর ব্যবস্থা করা খুবই কঠিন। এমন এক সমস্যায় পড়েছিল চন্ডীগড়ের একটি সরকারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা।খবরটি অভিনেতা সোনু সুদ এর কানে পৌঁছাতেই তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্মার্টফোনের ব্যবস্থা করে দেন।
শুধু মাত্র ফোন দিয়েই তিনি দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলেননি। যাতে অনলাইন পড়াশোনা করার সময় ইন্টারনেট সমস্যায় না পড়ে পড়ুয়ারা তার জন্য মোবাইল টাওয়ার বসানোর কাজে হাত দেন। সোনু সুদ এর এক বন্ধু করণ গিলহোত্রা থাকেন চন্ডীগড়েই। তাঁর সাথে মিলে মোবাইল টাওয়ার বসানোর কাজে হাত দেন। সুত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে যে ইন্দাস টাওয়ার ও এয়ারটেল এর সহযোগিতায় চন্ডীগড়ের মোরানি এলাকায় একটি টাওয়ার বসানোর কাজ সম্পন্ন করেন।
সম্প্রতি মোরানির দাপনায় একটি ভিডিও তোলা হয়েছিল এবং সেটি স্যোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটিতে দেখা গেছে একটি ছেলে একটি বড় গাছের ডালের উপর বসে টাওয়ার পাওয়ার চেষ্টা করছে। টাওয়ার পেলে তবেই সে অনলাইন ক্লাস করতে পারবে। অনলাইনে ক্লাস করতে দরকার হাই স্পিড নেট পরিষেবা। ভিডিও টা দেখার পর করণ বলেছেন যে তাঁর খুব লাগে এই দেখে যে ভারতের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য কি প্রচন্ড কষ্ট করতে হয়। মোরানির ভিডিও টা দেখার পর করন নিজে থেকেই ইন্দাস টাওয়ার আর এয়ারটেল এর সঙ্গে কথা বলেন।। গ্রাম সার্ভে করে ইন্দাস টাওয়ার ও এয়ারটেল মোরানি র একটি জায়গায় টাওয়ার বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়।এই টাওয়ার বসলে পড়ুয়ারা ঘরে বসেই টাওয়ার পাবে এবং নিরাপদে পড়াশোনা করতে পারবে।
সোনু সুদ জানিয়েছেন যে প্রতিটা বাচ্চার পড়াশোনা করার অধিকার আছে। আর তাদের সুদৃড় ভবিষ্যত গড়তে পড়াশোনা করা অত্যন্ত জরুরি। জানিয়েছেন এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোবাইল টাওয়ার বসানোর কাজে নিজেকে যুক্ত করতে পেরে নিজেকে সন্মাননিত বোধ করছেন।বাচ্চাদের আর গাছে চড়ে মোবাইল এর টাওয়ার আনতে হবেনা এটা ভেবেই তাঁর ভালো লাগছে।।ইন্দাস টাওয়ার এর পাঞ্জাব হরিয়ানার সিইও গগন কাপুর জানিয়েছেন করন গিলহোত্রা ও এয়ারটেল এর সঙ্গে এই প্রজেক্টে কাজ করতে পেরে গর্বিত বোধ করছেন। কারণ এই করোনা আবহে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যেতে ভালো ইন্টারনেট পরিষেবা অত্যন্ত জরুরি। দেশের এই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে দেশের ছেলেমেয়েদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এমন কাজ করতে পারা খুব আনন্দদায়ক।