সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১৮ই মে:– একে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউএর প্রভাবে মানুষ নাজেহাল হয়ে পড়েছে। চিকিৎসা ব্যাবস্থা তলানি তলানিতে।।না আছে অক্সিজেন সিলিন্ডার, হাসপাতাল যা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি একাধিক বার বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মতো সুপার স্পেলালিটি হাসপাতাল দেশের আর কোথাও নেই।। কিন্তু প্রয়োজন এর সময় তার একটারও দেখা পাওয়া যায় নি। দিনের পর দিন অসংখ্য মানুষ এর মৃত্যু ঘটছে। আর এরই মধ্যে মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় আমফান হয়েছে। বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।। তাদের এখনো পর্যন্ত তেমন কোন সমস্যার সমাধান হয় নি।
“”একা রামে রক্ষা নেই সুগ্রীব দোসর””–
এদিকে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এ তৈরি হয়েছে এক নিম্নচাপ।। হাওয়া অফিস এর খবর অনুযায়ী সুন্দর বনে আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা।। তারপর দিক পরিবর্তন করে এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ এর দিকে ঘুরে যাওয়ার সম্ভাবনা।।কয়েক দিন ধরে চলছে প্যাচপ্যাচে গরম।। মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।। হাওয়া অফিস জানিয়েছে আরও দুই দিন গরমের প্রভাব আর ও বাড়বে। তাপমাত্রার পারদ ৩৯ ডিগ্রী হতে পারে আর আগামী শুক্রবার থেকেই অল্পবিস্তর বৃষ্টি শুরু হবে।। আজ উত্তর বঙ্গের জেলা গুলো ভাসতে পারে বৃষ্টিতে।।
আর ২৩ শে মে পুরো পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে আছড়ে পড়তে পারে আমফানের চেয়েও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ,যার নাম” যশ”।।অন্যান্য বারের তুলনায় এবার বর্ষা একটুখানি তাড়াতাড়ি বঙ্গ এ পা রাখতে পারে।। এদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে লকডাউন চলছে।। এর মধ্যে এই বৃষ্টির পূর্বাভাস যদি পশ্চিমবঙ্গ সরকার না মানে বা গরীব মানুষের জন্য জীবন জীবিকা র ব্যাবস্থা না করে তবে মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে পোহাতেই মানুষ শেষ হয়ে যাবে। আবহাওয়া দফতর অনেক আগেই এই দূর্যোগ এর খবর দিয়েছে কাজেই সরকারেরও উচিত আগেই মানুষের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা।