বিদেশ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

পেটে খাদ্য নেই, পুষ্টির অভাবে প্রতিমাসে মৃত্যু হচ্ছে দশ হাজারেরও বেশি শিশুর – ‘হু’ এর রিপোর্ট।


কল্পনা গুপ্ত, নিউজ চিন্তন: ২৯শে জুলাই: – করোনার কারণে ভেঙে পড়েছে বিশ্বের অর্থ ব্যবস্থা। কাজ হারিয়েছেন বহু সম্প্রদায়ের বহু মানুষ। তারই কারণে কমছে দেহে পুষ্টির জোগান। রাষ্ট্রসংঘ জানাচ্ছে এই সময়ে অনাহারে, অর্ধাহারে, পুষ্টির অভাবে প্রতিমাসে মৃত্যু হচ্ছে দশ হাজারেরও বেশি শিশুর। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসার অভাব, কৃষিজাত পন্যের অভাবেই তৈরি হচ্ছে এই পরিস্থিতি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পুষ্টি বিভাগের প্রধান ফ্রান্সেস্কো ব্রাঙ্কা বলেন এই করোনা সংকটে সুষম খাদ্যের ব্যবস্থাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যার প্রভাব পড়বে শিশু থেকে সব বয়সের মানুষের ওপর।

এপ্রিল মাসে বিশ্ব খাদ্য পরিকল্পনা জানিয়েছিল, করোনা বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। শুধু সুদানেই ৯৬ লাখ মানুষ একবেলা খেয়ে আছেন। মুদ্রাস্ফীতির জেরে জিনিসপত্রের দাম কোথাও কোথাও তিনগুণ হয়ে গেছে। ‘হু’ এর প্রাধান জানান, লাতিন আমেরিকা থেকে দক্ষিণ এশিয় সাব- সাহারাণ আফ্রিকার গরিব পরিবারগুলো পর্যাপ্ত খাদ্যের অভাবে ভবিষ্যতে আরো সংকটের মধ্যে পড়বে।

রাষ্ট্রসংঘের চারটি সংস্থা সতর্ক করেছিলো যে ক্রমবর্ধমান অপুষ্টি দীর্ঘমেয়াদী পরিণতি ঘটাবে এবং এক প্রজন্মকে এই বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। বুর্কিনা ফ্রাসোর এক শিশু ইতিমধ্যেই সোলাঞ্জ বোকে হত্যা করেছে ক্ষুধার কারণে। ক্ষুধার তালিকায় আফগানিস্তান রয়েছে রেডজোনে। সেখানে শিশু অপুষ্টির হার বেড়েছে ১৩শতাংশ। অপুষ্টির কারণে প্রতিমাসে বিকলাঙ্গ শিশুর সংখ্যা প্রায় ৫লাখ ৫০ হাজার হয়ে চলেছে। শিশুরা শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার শিকার হয়ে পড়ছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।