সঞ্জিত রায়:চিন্তন নিউজ:১০ই ফেব্রুয়ারি:–মেয়রকে যোগ্য জবাব দিতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতি,আসানসোল মহকুমা কমিটির পক্ষ থেকে আসানসোল মহকুমা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। ১৬ দফা দাবীতে এই ডেপুটেশন দেওয়া হয়। দাবীগুলি ছিল-
১) বস্তীবাসী পরিবারকে জমির পাট্টা দিতে হবে।
২) সরকারী জমিতে ২০ বছরের বেশী সময় ধরে বসবাসকারী পরিবারকে জমির লিজ দিতে হবে।
৩)’হাউসিং ফর অল’প্রকল্পের সুযোগ বস্তিবাসীদের দিতে হবে।
৪) আসানসোল নগর নিগমের অন্তর্গত বস্তিগুলিকে কর্পোরেশনগতভাবে নোটিফায়েড করতে হবে এবং বস্তিগুলিতে বস্তির নির্দিষ্ট নামে কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বোর্ড লাগাতে হবে।
৫) সমস্ত বস্তিবাসীদের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুযোগ দিতে হবে ইত্যাদি।
আসানসোল রবীন্দ্রভবন থেকে বস্তিবাসীরা মিছিল করে আসানসোল আদালতের পাশে ঘড়িমোড়ে জমায়েত করেন।সেখানে নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে পৌর নিগমের মেয়রের আচরনের তীব্র নিন্দা করে বলেন যে মেয়রের কাছে ডেপূটেশন দেবার জন্য তারিখ জানতে গেলে মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারী অত্যন্ত কূৎসিত ভাষায় গালাগাল করেন তাড়িয়ে দেন। তাই তারা বস্তিবাসীদের কাছে আবেদন করেন আর কিছুদিন পর মেয়র যখন নির্বাচনে জেতানোর জন্য হাতজোড় করে ভোট ভিক্ষা করতে আসবেন তখন তাকে মুখের উপর জবাব দিতে হবে।
তারা আরও বলেন দৃর্গাপুরের মেয়র আলোচনায় সৌজন্য দেখিয়েছেন। কিন্তু আসানসোলের মেয়রের দূর্বিনীত ব্যবহারের জবাব দিতে হবে। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের পঃ বর্ধমান জেলা সম্পাদক মহাব্রত কুন্ডু,জেলা সভাপতি সুজিত দত্ত,সুজিত মুখার্জী, বিদ্যুৎ মুখুটি প্রমূখ।পরে সম্পাদকের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল মহকুমা শাসকের পরিবর্তে সেকেন্ড অফিসারের কাছে ডেপুটেশন দিতে যান।প্রতিনিধি দলে ছিলেন মহাব্রত কুন্ডু,সুজিত মুখার্জী,তাপস মুখার্জী, কৃষ্ণেন্দু ঘোষ ও মহঃ কালাম।