জেলা

নিশির গভীর আঁধার ঠেলে উষাকালের সূর্য –‘ওরা কাজ করে’।


রাহুল চ্যাটার্জি:চিন্তন নিউজ:২৯শে এপ্রিল:- ঈশান কোণে মেঘ জমেছে, দিচ্ছে যেন অশনি সংকেত। পুব আকাশে উঠছে রবি, পশ্চিমে তার অস্তাচল। গভীর নিশির অম্বরে দেখি উজ্জ্বল গ্রহ-তারা। ফুল ফলের সমারোহে শস্যশ্যামলা ধরণীতে মন জুড়ানো পাখির কলতানে হাসছে বসুন্ধরা। জীব কুলের শ্রেষ্ঠ মনুষ্য সমাজ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির কল্যাণে প্রকৃতিকে আপন মুঠোয় বেঁধেছে তার হস্ত যুগলের মধ্যে। কিন্তু হিংস্র-স্বার্থপর মানব সমাজের অহংকার আজ চূর্ণ হয়েছে। ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম বা সামান্য অদৃশ্য এক মারণ জীবাণুর ভয়ে ত্রস্ত হয়ে শীত ঘুমের মত স্তব্ধ হয়েছে মানব সভ্যতা। প্রকৃতি আজ হয়ত অলক্ষ্যে হাসছেন। আজ কোথায় সেই চাঁদে মঙ্গলে পাড়ি দেওয়ার গল্প…! কোথায় তোমার ২১ শতকের আভিজাত্য? প্রকৃতি ও মানবতার অস্তিত্ব কে অস্বীকার করে অহংকারে মত্ত হয়ে বানাতে পেরেছি আণবিক বোমা। প্রকৃতির কাছে আমরা নিতান্তই শিশু। তাই যেন এই ২১শতকের দরজায় দাঁড়িয়ে উদাত্তকণ্ঠে জানান দিচ্ছে, হিংসা-দ্বন্দ্ব-অনাচার-অবিচার ও সর্বোপরি ধর্মের নামে বিভেদ রাজনৈতিক বিদ্বেষ,প্রকৃতিকে জয় করার নামে ক্ষত করার ফল কি হতে পারে তা।
মানব সভ্যতাকে এই করোনা নামক ভয়ঙ্কর ব্যাধির করাল গ্রাস থেকে উদ্ধার করার জন্য একদিকে ডাক্তার, নার্স, গবেষক, পুলিশ, পৌরকর্মী স্বাস্থ্য কর্মী,সাফায়কর্মীরা যেমন নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অপরদিকে নিরলসভাবে মানুষের পাশে থেকে মানবতার জয়গান গেয়ে যাচ্ছেন একদল তরতাজা যুবক।

এদিন গরীব ও নিম্ন আয়ের পরিবার গুলিকে বাছাই করে রামপুরহাটের তালডাঙ্গার ছাতার পুকুর গ্রামে ১০০ জন দুঃস্থ মানুষের হাতে চিড়ে, তেল, চা, সাবান, চিনি, লবন, সোয়াবিন বড়ির প্যাকেট ও অন্যান্য খাদ্য দ্রব্য বিতরণ করলো সি পি আই(এম)। ২ টি অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে দ্রব্য গুলি বিতরণ করা হয়। লক ডাউন চলার কারনে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর কোন কাজ নেই, নেই অর্থ উপার্জনের কোন পথ। লক ডাউনের কারনে প্রায় এক মাস কাজ কর্ম নেই।অন্যদিকে এস‌এফ‌আই বীরভূম জেলা কমিটির সম্পাদক বলেন, “তাঁদের ছবি প্রকাশ্যে আনবো না যারা এই পরিস্থিতির শিকার, তিনি আরও জানান যে এই কর্মকান্ড তাদের চলবে”।

ছাত্র-যুব, কৃষক-শ্রমিক গণসংগঠনগুলির(SFI/DYFI /CITU ও AIKS )ইলামবাজার লোকাল কমিটির উদ্যোগে আজ নৃপতিগ্রামে ৫৬টি পরিবারে চাল, ডাল, আলু, পিয়াঁজ এবং রমজানে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ইফতারের আহারসামগ্রী- চিঁড়ে, খেজুর, কলা এবং তরমুজ সহ ফল তুলে দেওয়া হয়।এছাড়াও এদিন পাথরচপুরী সংলগ্ন চাঁদপুরের জঙ্গলে আশ্রয় নেওয়া ১০ জন পরিযায়ী নির্মাণশ্রমিকদের জঙ্গলের মধ্যেই রান্না করে খাবার তুলে দেন সংশ্লিষ্ট এলাকার যুবকর্মীরা। প্রায় ২৬দিন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকার পর ঐ শ্রমিকেরা পায়ে হেঁটেই বাড়ির উদ্যেশ্যে বেরিয়ে পড়েছেন ঝাড়খন্ড থেকে সোজা মুর্শিদাবাদের দিকে।। পথ চলতে ক্ষুধা নিবারণের জন্য আরো কিছু শুকনো খাবার তুলে দেওয়া হয় তাদেরকে।।

সীমাবদ্ধতা থাকলেও এদিন রামপুরহাট ১নং ব্লকের মাসড়া গ্রামে সিপিআই(এম) পার্টি কর্মীদের উদ্যোগে গ্রামের প্রায় ২০০ টি ও সিউড়ির তিলপাড়া গ্রামে প্রায় ১২০ টি গরীব পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল আগামী কিছুদিনের খাদ্যসামগ্রী।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।