জেলা

ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে বিতর্কে ধুপগুড়ি পৌরসভার ভূমিকা


সঞ্জিত দে: চিন্তন নিউজ: ২১ সেপ্টেম্বর ঃঃ- করোনা মহামারি তৃতীয় ঢেউ যখন শুরুর মুখে ইতিমধ্যে গ্রামশহর সর্বত্র শিশু কিশোর জ্বরে আক্রান্ত হতে শুরু করেছে সে সময়েও গ্রামের বাসিন্দারা ভ্যাকসিন নিতে হন্যে হয়ে ছুটছেন নানা জায়গায়। শহরে ভ্যাকসিন মিললেও গ্রামে আকাল চলছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন পুজোর আগে ৮০% ভ্যাকসিন সম্পন্ন করতে হবে, আর তাই করোনা বিধিকে অমান্য করেই পনেরশো মানুষকে একসাথে ভ্যাকসিন দেওয়ার উদ্যোগ ধুপগুড়ি পৌরসভার। বিতর্কে ধুপগুড়ি পৌরসভার ভূমিকা। গ্রামীণ এলাকায় মিলছেনা ভ্যাকসিন তাই ধূপগুড়ি পৌরসভার উদ্যোগে মেগা ভ্যাকসিনের আয়োজন। মঙ্গলবার শিবির বসেছিল ধূপগুড়ি শহরের উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। সেখানেই বিভিন্ন গ্রাম থেকে এমনকি পাশের ময়নাগুড়ি ব্লকের কয়েকটি গ্রামের মানুষ এসে ভীড় করেন ভ্যাকসিন নিতে।

গত ৩১ শে আগষ্ট বানারহাট থানার দুরামারি এলাকায় ভ্যাক্সিন নিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে আহত হয়েছেন প্রায় ৩৫ জন।সেদিন ৭০০ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল এলাকার পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসন।আর সেই কারণেই পদপিষ্ট হয়ে আহত হতে হয়েছিল ৩৫ জন সাধারণ মানুষকে। আর সেই ঘটনা থেকে যে সতর্ক হয়নি প্রশাসন, তার প্রমাণ ধুপগুড়ি পুরসভার উদ্যোগে ফের ভ্যাকসিনেশনের জন্য পনেরশো মানুষকে একসাথে জমায়েত করার ঘটনা যদিও দুরামারির এবং রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় ভ্যাকসিন নিয়ে পদপিষ্ট কোথাও সংঘর্ষের ঘটনার পর নবান্ন থেকে পরিষ্কার নির্দেশ দেওয়া হয় ২oo জনের বেশি একসাথে ভ্যাকসিন দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা করা না হয়। বিতর্ক এড়াতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও নির্দেশকে অমান্য করেই এদিন ধূপগুড়ি পুরসভার উদ্যোগে প্রায় পনেরশো মানুষকে একসাথে জমায়েত করে ভ্যাকসিন এর ব্যবস্থা করা হয়, আর সেখানেই কোভিড বিধি লঙ্ঘিত হয়। নেই সামাজিক দূরত্ব নেই অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক। অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। এদিন ডিবিরের খবর সংগ্রহ করতে গেলে পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ সিং এক সাংবাদিককে ছবি তুলতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। এতদিন ধূপগুড়ি পুরো এলাকার বাসিন্দাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, এবার গ্রামীণ এলাকার মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে ধূপগুড়ি পৌর এলাকায়।ময়নাগুড়ির হুসলুর ডাঙ্গা, গাদং এর শালবাড়ি, গধেয়ার কুঠি, মাগুরমারি সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ ভ্যাকসিন এর জন্য ভোর পাঁচটা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছে। ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষের অভিযোগ, গ্রামে অঞ্চলগুলিতে ভ্যাকসিন নিতে গেলে সেখানে ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না বারবার ঘুরে আসতে হচ্ছে। আজকে হবে কালকে হবে বলে তারিখ দেয় কিন্তু ভ্যাকসিন পাওয়া যায় না। তাই এত দূর থেকে ধূপগুড়ি গার্লস স্কুলে ভ্যাকসিন নিতে এসেছি।
বিনা সূত্রধর শালবাড়ি গ্রাম গ্রাম থেকে ভ্যাকসিন নিতে আসা উপভোক্তা

জ্যোতি সরকার ময়নাগুড়ি ব্লকের হুসলুর ডাঙ্গা থেকে ভ্যাকসিন নিতে আসা উপভোক্তা

সুমন্ত অধিকারী ভ্যাকসিন দিতে আসা পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা সকলেই বলেন গ্রামে ভ্যাক্সিন দেবার শিবির খুব অল্প করা হয় সেখানে ভ্যাক্সিন থাকে কম সামান্য কিছু মানুষকে দেবার পর বলা হয় কবে আবার শিবির হবে ঘোষণা করা হবে।তাই এত দূরে ছুটে আসতে হয়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।