সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:২৫শে সেপ্টেম্বর:- বিভিন্ন দেশের গবেষণাতে উঠে এসেছে এক অবাক করা তথ্য এবং তা ভারতবর্ষ নিয়ে। আজ থেকে এক লক্ষ বাহাত্তর হাজার বছর আগে তখন থর মরুভূমির মধ্যে দিয়ে বয়ে যেত খরস্রোতা নদী। এর আগেও থর মরুভূমির উপর দিয়ে বহমান নদী ছিল কিন্তু এত প্রাচীন নদী ছিল তা কোন গবেষণা তেই ধরা পড়ে নি। কোয়ার্টারনারি সাইন্স রিভিউস (Quaternary Science Reviews) নামক জার্নালে প্রকাশিত এই নদীর কথা শুনে আপামর পৃথিবীবাসী অবাক হয়ে গেছে।।
জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর সায়েন্স অফ হিউম্যান হিস্ট্রি (The Max Planck for the science of Human History) বিশ্ববিদ্যালয়, তামিলনাডুর আন্না বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স, এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের(IISER) এই তিন বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে প্রস্তর যুগে থর মরুভূমির এলাকা এমন জলশূন্য ছিল না। একলক্ষ বাহাত্তর হাজার বছর আগেও বিকানির সংলগ্ন নাল কোয়ারি এলাকা দিয়ে বয়ে যেত নদী। বালিভর্তি ছিল না এই অঞ্চল, বরঞ্চ এইসব এলাকা ছিল উর্বর জমিতে ভরা। নানারকম ফসল ফলতো। এই গবেষণা পত্রে দাবী করা হয়েছে যে আফ্রিকার থেকে একদল হোমো সেপিয়েন্সরা বসতি গড়ে তুলেছিল ,পরে তারা নানান জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে গবেষকরা প্রথমে মহাকাশ থেকে থর মরুভূমির নানারকম ছবি তোলেন। আর তাতে তাঁরা দেখেন থর মরুভূমির উপরে সরু সরু রেখা।পরে নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বোঝা যায় ওই রেখাগুলো আসলে নদীর গতিপথ। এটি জানার পর ওই এলাকা নিয়ে আরও গবেষণা শুরু করেন এবং জানা যায় এক লক্ষ বাহাত্তর হাজার বছর আগে ওই নদীর জলপ্রবাহ সর্বোচ্চ ছিল। কিন্তু বৃষ্টি কম হতো আর তার ফলে পঁচানব্বই থেকে আটাত্তর হাজার বছর আগেও যে নদী বহমান ছিল তা আস্তে আস্তে শুকিয়ে যেতে থাকে। গবেষকেরা দাবী করেছেন যে থর এলাকায় যদি ঠিকভাবে গবেষণার কাজ চালানো যায় তবে আরও পুরোনো ইতিহাস উঠে আসবে যেমন করে এই নদীটির ইতিহাস সর্বসমক্ষে এলো।