দেশ

দেশের প্রতিরক্ষার তিনটি বিভাগের প্রধান, তিনজন সহপাঠী


সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১৮ই জুলাই:- ১৭ বছরের কেবি,ছোটু ও মনোজের সাহস ও দক্ষতা মুগ্ধ করেছিল ন্যাশানাল ডিফেন্স আ্যকাডেমির সেনা প্রশিক্ষকদের।। আজ ও তাঁরা তিন বন্ধু, তিন সহপাঠী। নিয়মনিষ্ঠা ও কর্তব্য পালনের আগ্রহ শিরায় _ মজ্জায় সেই ছোটবেলা থেকেই। কঠিন সেনা প্রশিক্ষণের সব সিঁড়িই দক্ষতার সঙ্গে পেরিয়েছিলেন।।একই ব্যাচের তিন সহপাঠীর একই সঙ্গে দেশের তিন বাহিনীর প্রধান শীর্ষ পদ সামলানো ঘটনা বিস্ময়কর শুধু নয় ঐতিহাসিকও ।

১৯৭৬ সালের ৫৬ তম ব্যাচের তরুণ কেবি,ছোটু ও মনোজ এখন দেশের নৌসেনা প্রধান আ্যডমিরাল করমবীর সিং, বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আর কে এস ভাদুরিয়া, এবং দেশের সেনাপ্রধান এর দায়িত্বপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে।।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল নারাভানে ও চিফ মার্শাল ভাদুরিয়া ছিলেন ন্যাশান্যাল ডিফেন্স আ্যকাডেমির এক স্কোয়াড্রনে।। “লিমা” স্কোয়াড্রনে একসঙ্গে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হয়।। আ্যডমিরাল করমবীর সিং ছিলেন “হান্টার” স্কোয়াড্রনে।নারাভানে ও করমবীর এর বন্ধুত্ব আরও পুরোনো। তাঁরা এক স্কুলের পড়ুয়া। জানা গেছে নারাভানে ও করমবীর এর বাবা’ রাও খুব ভালো বন্ধু এবং এক স্কুলের ছাত্র। দু’জনের বাবা ছিলেন বায়ুসেনার গুরুত্বপূর্ণ পদে। চিফ মার্শাল ভাদুরিয়ার বাবা ছিলেন ফ্লাইং অফিসার।।পেশার ক্ষেত্রে এই যোগাযোগ পারিবারিক সম্পর্কেও যোগসূত্র তৈরি করে। ১৯৮০ সালে নিজের নিজের উইং বেছে নিলেও এই অভিন্ন বন্ধুত্বে ছেদ পড়েনি।।

সাহস,দক্ষতাও কর্তব্যে তিন বাহিনীর তিন প্রধানই নতুন মাইলফলক তৈরি করেছেন।১৯৮০ সালের জুন মাসে শিখ লাইট ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সাত নম্বর ব্যাটালিয়নে কর্মজীবন শুরু করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। ৩৭ বছরের কর্মজীবনে একাধিক কমান্ড্যের শীর্ষপদে ছিলেন।। কাশ্মীর ও উত্তর পূর্ব ভারতের জঙ্গি দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন নারাভানে। কাশ্মীরে তিনি রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের অধিনায়ক ছিলেন।। তাছাড়া অসম রাইফেলসের ইন্সপেক্টর জেনারেল এর দায়িত্ব সামলেছেন।। শ্রীলঙ্কায় অপারেশন পবনের সময় তিনি ভারতীয় শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন।। মায়ানমারে ভারতীয় দূতাবাসে প্রতিরক্ষা আধিকারিক হিসেবে তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন।।

১৯৮০ সালে জুলাই মাসে ভারতীয় নৌসেনা যে যোগদান করেন করম বীর সিং।।১৯৮২ সালে নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার পাইলট হিসেবে দায়িত্ব নেন।।২০১৭ সালে তিনি ইষ্টার্ণ নেভাল কমান্ডের ফ্ল্যাগ অফিসার কমান্ডার ইন চিফ হিসেবে দায়িত্ব ভার তুলে নেন। ৩৯ বছর ধরে নৌবাহিনীর দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৮০ সালেই ভারতীয় বায়ুসেনা র ফাইটার স্ট্রিমে যোগদান করেন রাকেশ কুমার সিং ভাদুরিয়া।এয়ার উইং এর নানা শাখায় কাজ করেছেন তিনি। ফ্লাইট টেষ্ট স্কোয়াড্রনের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন।২০১৬_২০১৭ পর্যন্ত এয়ার স্টাফের ডেপুটি চিফ ছিলেন। ২৬ রকমের যুদ্ধ বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ রয়েছে চিফ মার্শাল ভাদুরিয়ার।।৪২৫০ ঘন্টা আকাশে যুদ্ধ বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। ভারতবর্ষের প্রতিরক্ষার তিন সেনানীর হাতে ভারতবর্ষ রক্ষার ভার।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।