দেবু রায়:- চিন্তন নিউজ :- ১৩ই সেপ্টেম্বর,২০২০:- পেট যখন জ্বলে খিদের আগুনে তখন পাশে থাকে লাল ঝাণ্ডার শ্রমজীবী ক্যান্টিন।হ্যাঁ আজ দেখতে দেখতে যাদবপুরের নব নগরের জ্যোতি শ্রমজীবী ক্যান্টিনের বয়স হলো ১৬৫দিন। রোজ এখান থেকে প্রায় ৬৫০ থেকে ৭০০জনের মত খাবারের প্যাকেট বিলি করা হচ্ছে মাত্র কুড়ি টাকার বিনিময়ে । সব কিছু হারানো ক্ষুধার্ত মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারকে যখন রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয় না তখন লাল ঝাণ্ডার দলই তাঁদের সীমিত ক্ষমতার মধ্যে দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। একদিকে লক ডাউনের পরবর্তী সময় প্রায় ৩৪ শতাংশ মানুষের হাতে কাজ নেই ।বাজারে গেলে কোনো কিছুই ছোঁয়া যাচ্ছে না । ঘরে অর্থ নেই, ঠিক সেই সময় মানুষের ভরসা ঐ লাল ঝান্ডা ।রাজ্যের একটি দল ত্রান থেকে তোলা বাজিতে যখন ব্যস্ত, নিজেদের উন্নয়নকে রাজ্যের উন্নয়ন বলে চালাতে ব্যস্ত. অন্য দিকে তখন আর একটি সর্বভারতীয় দল দেশ ভক্তি ও ধর্মের আবেগকে হাতিয়ার করে দেশ বিক্রিতে ব্যস্ত । তখনই লাল ঝান্ডার স্লোগান- “কেউ খাবে ,কেউ খাবে না! হবে না তাই হবে না”।ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তারা শ্রমজীবী ক্যান্টিনের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার মানুষকে খাবার দিচ্ছে. বর্তমানে যেগুলি চলছে:–
১)শ্রমজীবী ক্যান্টিন গড়ফা, ১০৪নম্বর ওয়ার্ড
২)জ্যোতি দেবী শ্রমজীবী ক্যান্টিন নব নগর যাদবপুর
৩)বরানগর শ্রমজীবী ক্যান্টিন
৪)রায়গঞ্জ শ্রমজীবী ক্যান্টিন ,উত্তর দিনাজপুর
৫)লাল মাটির রান্নাঘর -সোনামুখী(বাঁকুড়া)
৬)পোড়া মাটির রান্নাঘর -বিষ্ণুপুর(বাঁকুড়া)
৭)বেহালা শ্রমজীবী ক্যান্টিন -বেহালা(এটা শুরু হচ্ছে ২রা অক্টোবর থেকে
৮)বালিগঞ্জ শ্রমজীবী ক্যান্টিন -বালিগঞ্জ
৯)দমদম নাগরিক হেঁসেল -দমদম
১০)মানিকতলা মানুষের হেঁসেল -মানিক তলা
১১)বেলঘরিয়া বিশু দাস শ্রম জীবি ক্যান্টিন -বেলঘরিয়া
১২)কালিয়া চক চিনি বাজার কমিউনিটি কিচেন -কালিয়াচক
১৩)আনন্দ ভোজ -পিপুল পতি(হুগলী)
১৪)উত্তর পাড়া শ্রমিক ক্যান্টিন-উত্তর পাড়া
১৫))প্রিয়া মান্না শ্রমজীবী ক্যান্টিন হাওড়া.
হয়তো আগামী দিনে আরও অনেক জায়গায় এই ধরনের ক্যান্টিন খোলা হতে পারে.
একদিকে ছাত্র যুবরা রক্ত দিয়ে মানুষের জীবন ফিরিয়ে দিচ্ছে, অন্য দিকে মাত্র কুড়ি টাকার বিনিমিয়ে খাবার দিয়ে সামাজিক দায়িত্ব পালন করছে । আর মানুষের দাবি নিয়ে বামপন্থীরা রাস্তায় লড়াই করছে । গণতান্ত্রিক লড়াইকে স্তব্ধ করার জন্য রাষ্ট্রীয় শক্তি ফ্যাসিস্ট কায়দায় মিথ্যা মামলা করছে।তাই তো সীতারাম ইয়াচুরি, জয়িতা ঘোষ, ডা.কাফিল খান, কানাইয়া কুমারদের জেলে ভরার জন্য নিরন্তর ষড়যন্ত্র করে চলেছে। এই আমলে ৮১বছরের বৃদ্ধ তেলেগু কবি ভারভারা রাও কে আজ জেলে মরতে হয়। তেলেগু কবি ভারভারা রাও এর কয়েকটা লাইন কবিতা–
পারলে তুমি বণিক ডেকে –
গোধূলিও দাও বেচে
গোদাবরীও শুকিয়ে যাবে
থাকবে না কেউ বেঁচে!