দেশ

অতিমারীকালেই সরকারি সম্পত্তি বিক্রির পরিকল্পনা নীতি আয়োগের


চৈতালী নন্দী:-চিন্তন নিউজ:-২৯শে জুলাই,
অতিমারী পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের নির্দেশে অবাধে সরকারি সংস্থাগুলি বিক্রির পরিকল্পনা করছে নীতি আয়োগ – অভিযোগ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর।। আত্মনির্ভরশীল ভারত গড়ার নাম করে আগামী পাঁচ বছরে দেশের সরকারি সম্পদ ও সংস্থাগুলো বিক্রির ব্লুপ্রিন্ট তৈরির উদ‍্যোগ নিতে বলা হয়েছে নীতি আয়োগকে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন মনে করেন, এভাবেই একের পর এক সেক্টর বিক্রির পরিকল্পনাই তৈরী করবে আত্মনির্ভরশীল ভারত। পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজ নীতিই হবে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
               ঘোষণার দিকে নজর দিলে বোঝা যাচ্ছে কর্পোরেট সংস্থাগুলির চাপে বিভিন্ন সরকারি ক্ষেত্রের রাশ নিজেদের হাতে রাখতে চাইছে না সরকার । ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশ ঘটছে বেসরকারি সংস্থার।
বাড়ছে বিদেশি বিনিয়োগ। বেছে নেওয়া হচ্ছে গণ-বেসরকারিকরণের পথ। যে সব সংস্থাগুলি বছরে কোটি কোটি টাকা লভ‍্যাংশ দিচ্ছে সেগুলোও বাদ যায়নি।
                            ফিকির এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কে কে রাজন বলেন ১ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ সৃষ্টির পরিকল্পনা রয়েছে নীতি আয়োগের। কোন কোন সেক্টর কে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে তৈরী হচ্ছে তার তালিকাও।
কর্পোরেট সংস্থা গুলিকে দেড় লক্ষ কোটি টাকা ছাড় দেবার পর বেড়েছে রাজস্ব ঘাটতি। কোষাগারের ঘাটতি মেটাতে ও রাজস্ব বৃদ্ধির স্বার্থেই এই পরিকল্পনা।জানাচ্ছেন এক সরকারি আধিকারিক।
পরিকাঠামো খাতে ইতিমধ‍্যেই লগ্নি বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার। ২০১৯ থেকে ২৫-এর মধ‍্যে ১১১ লক্ষ কোটি টাকার জাতীয় পরিকাঠামো খাত তৈরি করা হয়েছে। তৈরি হয়েছে টাস্ক ফোর্স ও বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে রাজস্ব আদায়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। জাতীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা হবে ৩৯% কেন্দ্র, ৪০% রাজ‍্যগুলি ও২১% বেসরকারি হাতে যাবে। যেসব ক্ষেত্রগুলিকে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে তার মধ‍্যে রয়েছে রেলওয়ে, এলআইসি, কয়লা, খনিজ, মহাকাশ গবেষণা, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এমনকি বিদ‍্যুৎ পর্যন্ত।
   শ্রমিক সংগঠন গুলি এর তীব্র বিরোধিতা করছে। বিভিন্ন গণআন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তারা জানতে চাইছে লাভজনক সংস্থা গুলি বিক্রি করা হচ্ছে কাদের স্বার্থে? এই সরকার কাজ করছে কাদের স্বার্থে?


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।