তুলসী কুমার সিনহা:-চিন্তন নিউজ:-১৯ শে সেপ্টেম্বর:- সংসদের বাদল অধিবেশনে কিছু বিরোধী সদস্য প্রধানমন্ত্রী কেয়ারস তহবিল নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন। তার উত্তরে অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর নেহেরু ও গান্ধি পরিবার নিয়ে যে মন্তব্য করেন তার জন্য মন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি জানাতে থাকেন কংগ্রেসসহ অন্য দলগুলি।এই নিয়ে শুক্রবার লোকসভায় গন্ডোগোলের জেরে অধিবেশন দু’বার স্থগিত হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ট্যাক্সেশন এন্ড আদার ল’জ রিলাক্সেশন বিল (Taxation and other laws relaxation bill) পেশ করে বলেন, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ‘পিএম কেয়ার্স’ নিয়ে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির জবাব দেবেন। প্রধানমন্ত্রী কেয়ারস তহবিলের বিষয়ে আলোচনার সময় অনুরাগ ঠাকুর গান্ধী পরিবারের যাঁরা প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে উপকৃত হয়েছেন তাদের নাম প্রকাশের হুমকি দেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন — নেহেরুজি ১৯৪৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন সেটি আজও পর্যন্ত নিবন্ধন করা হয়নি কেন? কীভাবে এটি এফসিআরএ ছাড়পত্র পেল? ঠাকুর অভিযোগ করেন কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল অপব্যবহার করেছে, এই নিয়ে বিতর্ক হওয়া উচিত। এরপর কংগ্রেসের সদস্যরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন ও অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি জানাতে থাকেন। স্পিকার ওম বিড়লা সদস্যগণকে সাধারণভাবে এই অধিবেশনে কাজ চালিয়ে যাবার আহ্বান জানালেও স্লোগান অব্যাহত থাকে যার ফলে তিনি প্রায় আধ ঘণ্টা অধিবেশন স্থগিত করেন। পুনরায় সভা শুরু হ’লেও বিরোধী সদস্যরা তাদের বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে এবং ঠাকুরকে তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে স্লোগান তুলতে থাকেন। যদিও অনুরাগ ঠাকুর বক্তব্যের শুরুতেই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী-কেয়ারস তহবিল একটি পাবলিক দাতব্য ট্রাস্ট যা ভারতের জনগণের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্লোগান অব্যাহত থাকায় গতকালের অধিবেশন বিকেল ৫ টা পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। অতিমারীতে পিএমকেয়ার্স তহবিল নিয়ে ব্যখ্যা দিতে গিয়ে অযথা কংগ্রেস আমলের কথা টেনে আনেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী। এই ইস্যুতে কংগ্রেস সহ বিরোধী সাংসদগণ ক্ষুব্ধ।