রাজ্য

“সেভ ড্রাইভ,সেফ লাইফ” শুধুই সরকারি বিজ্ঞাপন, ছোট্ট ঋষভ ফিরল না মায়ের কোলে


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:২২শে ফেব্রুয়ারি:–চলে গেল ছোট্ট ঋষভ_ পুলকার দূর্ঘটনায় আহত ঋষভ আর নেই।। গত ১৪ই ফ্রেব্রুয়ারি স্কুল যাওয়ার পথে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।। অত্যধিক বেগে চলতে থাকে ওই পুলকারটি এবং আচমকা ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা মেরে উল্টে নয়নজুলিতে পড়ে যায়।। এই দুর্ঘটনায় অন্যান্য বাচ্চা দের উদ্ধার করা গেলেও দিব্যাংশু যাদব এবং ঝষভ সিং খুব গুরুতর ভাবে আহত হয়।। “সেভ ড্রাইভ,সেফ লাইফ” শুধুই সরকারি বিজ্ঞাপন,

প্রথমে তাদের হুগলি ইমামবাড়া হসপিটালে নিয়ে আসা হয়।। সেখানে চিকিৎসকরা কোন আশার আলো দেখাতে না পারায় তাদের কলকাতার এস এস কেএম হসপিটালে নিয়ে আসা হয়।। তারপর গত সাতদিন ধরে চলে যমে -মানুষে টানাটানি।।দিব্যাংশু যাদবের অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে।। কিন্তু গতকাল থেকে ঋষভের অবস্থা খারাপ থেকে আরও খারাপ হতে থাকে।। মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে বাচ্চা দুটোর চিকিৎসা চলছিল।।

চিকিৎসকরা আগেই জানিয়েছিলেন পুলকারটি যেহেতু নয়নজুলিতে পড়ে যায় তাই ফুসফুসে প্রচুর পরিমাণে কাদাজল ঢুকে যায় যার ফলে স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস নিতে পারছিল না।। বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতিতে তাদের শ্বাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।। কিন্তু পুরো কাদাজল শরীর থেকে বের করতে সক্ষম হননি ডাক্তাররা ফলে এতদিন ধরে এই কাদাজল শরীর এর ভেতরে থাকায় সংক্রমণ বেড়েই গেছে।।

দু একদিন আগে দিব্যাংশুর অবস্থা অল্প হলেও উন্নতি হয় কিন্তু ঋভভের অবস্থা একটুও উন্নতি হয় নি। উপরন্তু তার আরও গুরুতর সমস্যা দেখা দেয় _তার কিডনি ও লিভার এ সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ে। প্লেটলেট কমতে থাকে হু হু করে।। প্রতিনিয়ত তাকে প্লেটলেট দেওয়া হতে থাকে।। হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে ছোট্ট ঋষভ এর কিডনি, লিভার ফুসফুস কোনটাই কাজ করা বন্ধ করে দেয়।। একপ্রকার মাল্টিঅর্গান ফেলিওর এর পথে চলে যায় বাচ্চাটা।। শুক্রবার আরও একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়।। সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়।। কিন্তু চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হয় আর একটি মায়ের কোল খালি হয়ে গেল।। চলে গেল ছয় বছরের একটি শিশু।

পুলকার চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।। কিন্তু এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পেছনে যেটা রয়েছে তা চরম ব্যর্থতা প্রশাসনের।। যে পুলকারগুলো বাচ্চাদের নিয়ে যাতায়াত করে সেগুলোর কোন নজর দারি নেই।। গাড়ির চাকা গুলো সব প্লেন হয়ে গেছে।। তার উপর দুরন্ত গতিতে চলতে থাকে গাড়িগুলো।। মাঝপথে চালক বদল হয়ে যায়।। গার্জিয়ান দের সচেতন হতে হবে।। কোন গাড়িতে বাচ্চাদের ছাড়ার বিষয়ে।। আজ যদি সবাই সচেতন হতো তবে আর ছোট্ট ছেলেটাকে এভাবে চলে যেতে হতো না।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।