বিদেশ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কে হাসবে শেষ হাসি


চৈতালি নন্দী: চিন্তন নিউজ:২৯শে অক্টোবর:- আগামী ৩রা নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হোয়াইট হাউসের দখল নিতে চলেছে কে, সেদিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। গত চার বছর ক্ষমতায় থাকা রিপাবলিকান ট্রাম্প গণতন্ত্রের শিকড় প্রায় উপড়ে এনেছেন। একেরপর এক স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত, উদ্ধত আচরণ, মিথ‍্যাভাষণ, সাংবিধানিক ক্ষমতার অপব‍্যবহার আমেরিকার ইতিহাসে নজিরবিহীন। ফলে বেড়েছে রাজনৈতিক সংঘাত, বর্ণবিদ্বেষ, আইন শৃঙ্খলার অবনতি। মার্কিণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ন‍্যাশনাল কনভেনশন একটা বিশেষ অধ‍্যায়। যেখানে প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতারা নির্বাচনী প্রচার বক্তব্য রাখেন।

এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান ট্রাম্প নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বক্তৃতা দেন হোয়াইট হাউস থেকে। অন‍্যদিকে লিবারাল প্রার্থীরা ফাঁকা হলে। এখানেই একাকার হয়ে যায় দল ও রাষ্ট্রকে মিলিয়ে দেওয়ার অনৈতিক স্পর্ধা।

যেখানে পূর্বতন প্রেসিডেন্ট ওবামা বলতে বাধ‍্য হন ২৪৪ বছরের গণতন্ত্রের দেশে ট্রাম্প এখন জাতীয় শত্রু। লিবারালদের আর্তি গণতন্ত্রকে বাঁচানো, সিস্টেমকে বাঁচানো জরুরি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি অন‍্য দেশের তুলনায় ভিন্ন ও অপেক্ষাকৃত জটিল। মার্কিণ প্রেসিডেন্ট শুধুমাত্র জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন না, তাকে জিততে হয় ইলেকটোরাল কলেজের ২৭০ টি ভোটে। সাধারণ মানুষের ভোট যাকে বলে পপুলার ভোট ও ইলেকটোরাল ভোট। এই ইলেকটোরাল ভোট নির্ধারিত হয় অঙ্গরাজ্যে গুলির জনসংখ্যার ভিত্তিতে। যে প্রার্থী রাজ‍্যের পপুলার ভোট বেশী পাবেন তিনি সেই রাজ‍্যের সব ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে যাবেন। রিপাবলিকান ‘রেড স্টেট’ ও ডেমোক্রেটিক ‘ব্লু স্টেট’ বাদেও কিছু রাজ‍্য রয়েছে, যে রাজ‍্যগুলোর ভোটার দোদুল্যমান, অর্থাৎ যে কোনো দিকে যেতে পারেন। এই রাজ‍্যগুলিকে বলা হয় ‘ব‍্যাটল গ্রাউন্ড স্টেট’।

গত সপ্তাহের জনমত সমীক্ষায় ডেমোক্রেটিক জো বাইডেন পেয়েছিলেন ৫০% ভোট, যা আগস্টের সমীক্ষায় ছিল ৪৯%। এর আগের সমীক্ষা গুলিতেও বাইডেন কমবেশি এগিয়ে ছিলেন ।এ্যারিজোনা, ফ্লোরিডা, মিশিগান, পেনসিলভানিয়াসহ মূলত শিল্পাঞ্চল প্রধান রাজ‍্যগুলির ভোট বাইডেনের পক্ষে, অন‍্যদিকে জর্জিয়া, আইওয়া, টেক্সাস এই সব রাজ‍্যগুলিতে ট্রাম্প, ব‍্যবধান সামান্য হলেও, এগিয়ে রয়েছেন। এছাড়াও রয়েছে পোস্টাল ভোট, যা এবারের অতিমারীর কারণে বেশী হবার সম্ভাবনা। এর গুরুত্বও কম নয়। কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, ‘ব‍্যাটল গ্রাউন্ড স্টেট’ গুলিই নির্ধারণ করে দেয় প্রেসিডেন্টের ভাগ‍্য। এখন দেখার অপেক্ষা আগামী চার বছর কার দখলে থাকবে হোয়াইট হাউস।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।