জেলা

বিপুল উৎসাহে শুরু হোল যাদবপুরে শ্রমজীবী বাজার.


দেবু রায়:চিন্তন নিউজ:১৮ই সেপ্টেম্বর:-লকডাউন শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কেটে গেছে প্রায় পাঁচ মাস, এই মুহূর্তে কাজ হারিয়েছেন প্রায় জনসংখ্যার ৩৪শতাংশ মানুষ (সংগঠিত এবংঅসংগঠিত ক্ষেত্রে) তারা কেউ কিন্তূ উচ্চবিত্ত নয়, সকলেই মধ্যবিত্ত, বা নিম্ন মধ্যবিত্ত। আর গরিব যারা দিন আনি দিন খাই. তাঁদের বাঁচার একটার পরে একটা পথের সন্ধান দিচ্ছে লালঝাণ্ডার রেড ভলিন্টিয়ার বাহিনী।
গত ১৫/০৯/২০২০ থেকে যাদবপুরের বাঘাযতীন অঞ্চলে শুরু হলো দীপাঞ্জন মিত্র “শ্রমজীবী বাজার ” । ইতিমধ্যে রেড ভলিন্টিয়ার বাহিনী বিপনন কেন্দ্র ছাড়াও ভান নিয়ে আসে পাশের অঞ্চলে রোজ দু’বেলা বিভিন্ন সবজি নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে মানুষের দুয়ারে. দাম বাজার থেকে প্রায় ৪০শতাংশ কম। কি কি পাওয়া যাচ্ছে তার একটা তালিকা দেওয়া হ’ল1)টমেটো বাজারে ৮০/-টাকা আর শ্রমজীবী বাজারে ৫০-৬০টাকা.2)লাউ বাজারে ৩০থেকে ৪০টাকা, ওদের কাছে ১৫থেকে ২০টাকা. 3)পেঁপে4৪)বেগুন৫)উচ্ছে 6)কাঁকরোল ৭) ভেন্ডি (ঢ্যাঁড়স) 8)লেবু মোট ১০থেকে বারো রকমের সবজি পাওয়া যাচ্ছে.

হ্যাঁ শ্রমজীবী বাজারে রেড ভলেন্টিয়ার বাহিনী সারা-সরি চলে যাচ্ছে চাষী দের কাছে. তাঁদের থেকে ন্যায্য দামে কিনে সরবরাহ করছে, মাঝখানে কোনো দালাল নেই.
আজকে বাজারে গেলে একটা মানুষকে দেখাতে পারবেন যাদের জিনিস কিনতে গিয়ে নাভি শ্বাস উঠে না. আলু নিয়েই দেখুন. এই বছর রাজ্যে আলুর ফলন কম হয় নি, কিন্তূ টা সত্ত্বেও বাজারে ৩৫- ৪০ টাকার নিচে আলু নেই। কারণ হিমঘরের মালিকরা জানেন তাঁদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে না। হয়তো ৭৫ শতাংশ : ২৫ শতাংশ রফা আছে. আর মিডিয়া আছে যাদের কাজ মানুষকে ভুল -ভাল খবর দিয়ে মূল সমস্যা থেকে মানুষকে দূরে রাখা.
জানি এই সব বাজারে খবর কোনো দিনই কোনো মিডিয়া দেখাবে না, কারন তাঁদের লক্ষী লাভ হবে না, কিন্তু আমরা চিন্তনের পক্ষ্যে থেকে সত্যি টা সোশ্যাল মিডিয়াতে তুলে ধরতে প্রতিজ্ঞা বদ্ধ। এবার আপনারই বিচার করুন বাস্তব আর প্রচারের মধ্যে কত টা তফাত.বলাই বাহুল্য যে এই উদ্যোগটি নো প্রফিট – নো লস মডেল এর ভিত্তিতে চালু হয়েছে l রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় যাতে এরকম মডেল বাজার ছড়িয়ে পড়ে তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে l এই ভাবনার কল্পনা বামপন্থী মতাদর্শ এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে l


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।