দেশ

ডেইলি দেশের কথা’ পত্রিকার উপর ত্রিপুরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টে খারিজ।


কিংশুক ভট্টাচার্য :-চিন্তন নিউজ:- ১৫ই আগস্ট
ত্রিপুরার দৈনিক ‘ডেইলি দেশের কথা’ সংবাদ পত্রের প্রকাশনা পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা শাসকের বন্ধ করার আদেশকে শুক্রবার ত্রিপুরার উচ্চ আদালত বেআইনি বলে ঘোষণা করল। এই পত্রিকা সিপিআইএমের পরিচালনায় আগরতলা থেকে প্রকাশিত হয়।গত ২০১৮ সালের ১লা অক্টোবর তারিখে রাজ‍্য সরকারের এক নির্দেশে জেলা শাসক এক আদেশ বলে ‘ডেইলি দেশের কথা’ পত্রিকার প্রকাশনা বেআইনি বলে ঘোষণা করেন ও প্রকাশনা বন্ধের আদেশ দেন। উচ্চ আদালতে সরকারি আদেশের উপর স্থগিতাদেশ পাওয়ায় ৯ দিন পরে ঐ পত্রিকা আবার প্রকাশিত হতে থাকে।

সরকারে থাকার সুবাদে ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে দিল্লির আরএনআইকে প্রভাবিত করে তাদের জারি করা সার্টিফিকেট অফ রেজিস্ট্রেশন ফর পাব্লিকেশনটি বাতিল করে দেওয়া হয়। সিপিআইএম ত্রিপুরা রাজ‍্য কমিটি ও ‘ডেইলি দেশের কথা’ র ট্রাষ্টি বোর্ড আদালতে এর বিরুদ্ধে ন‍্যায় বিচার চেয়ে আবেদন করে।

রায় বেরোনর পর ত্রিপুরার রাজ‍্য নেতৃত্ব অমল চক্রবর্তীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে স্বভাবতই আনন্দ প্রকাশ করে বলেন যে রাজ‍্য সরকার গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরে যে ফ‍্যাসিবাদী কায়দায় রাজ‍্য তথা দেশের মানুষের মত প্রকাশের অধিকার খর্ব করার চেষ্টা করছে তা অত‍্যন্ত নিন্দনীয়।
হাইকোর্টে এই পত্রিকার পক্ষে সওয়াল করেন রাজ‍্যসভার সদস‍্য বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ।এই কাজে তাঁকে সহায়তা করেন এ্যাডভোকেট তাপস দত্ত মজুমদার। তাঁর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন যে জেলা শাসক রাজনৈতিক চাপে এক্তিয়ার বহির্ভূত ভাবে ডিক্লারেশন অথেন্টিকেশন বাতিল করেছিলেন। তথ‍্য সহ আদালতে জানানোয় আদালত সব পক্ষের সমস্ত বক্তব‍্য অনুধাবন করে তাঁদের রায় দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন ‘ডেইলি দেশের কথা’ পত্রিকা এই দেশে নিউজ পেপার নিয়ন্ত্রণ আইনের যে সংস্থা এই সব তদারকের দায়িত্ব প্রাপ্ত সেই সংস্থার নিকট সব সমস্ত বিধি নিয়ম ও এক্তিয়ারের সীমা অনুযায়ী সঠিকভাবেই রেজিষ্টার্ড। এই তথ্য আদালতে যথাযথভাবে তুলে ধরার ফলেই উচ্চ আদালত রাজ‍্য সরকারের সমস্ত বিধি নিষেধ বাতিল বলে ঘোষণা করেন।”

একইসঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে আরএনআই যে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল তাও খারিজ করে আরএনআই এর পূর্বে জারি করা সার্টিফিকেট বহাল রাখার পক্ষে রায় দান করেন। সুতরাং বর্তমানে ‘ডেইলি দেশের কথা’ পত্রিকায় প্রকাশনায় কোনো ধরনের বাধা রইল না।

ত্রিপুরার সিপিআইএম নেতৃত্ব এই জয়কে ফ‍্যাসিবাদের উপর চরম আঘাত এবং গণতন্ত্রের বিজয় বলেই মনে করছেন। তাঁরা স্বাধীনতা দিবসের দিন সংবিধান বাঁচাও দিবসের প্রাকমুহুর্তে এই ইতিবাচক রায় ঘোষণায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।