চিন্তন নিউজ, কল্পনা গুপ্ত, ১০ ই ডিসেম্বর – ষষ্ঠ দফার দাবিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে কৃষক সংগঠন বৈঠকে বসে হতাশ হলেন। তাদের দাবির ধারকাছ দিয়েও গেলো না ৯ ই ডিসেম্বর পাঠানো কেন্দ্রীয় সরকারের সংশোধনী প্রস্তাব। কৃষক নেতারা নতুন কিছুই পেলেন না। তাদের চিন্তার কারণ নতুন আইনে মান্ডি ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে যাবে। নতুন আইনে বলা নেই এম এস পি র থেকে কম দামে কেউ পারবে না এবং প্রস্তাবে তা সরকার নথিভুক্ত করতেও রাজি নয়। নতুন আইনানুযায়ী শুধুমাত্র প্যান কার্ড থাকলেই যে কেউ ব্যবসা করতে পারবে। কৃষকেরা দেওয়ানি আদালতে নিষ্পত্তির জন্য মামলা করতে পারবেন না। চুক্তি চাষের ক্ষেত্রে কৃষকের জমি বেহাত হয়ে যাবার আশঙ্কা কৃষকদের আতঙ্কিত করে তুলছে।
বিদ্যুৎ বিল ২০২০ বাতিলের দাবি তুলেছেন কৃষকরা। অত্যাবশকীয় পণ্য আইন সংশোধনী নিয়ে সরকার একেবারেই নীরব। যেভাবে এই আইন সংশোধন করা হয়াছে সেখানে বিপুল পরিমাণে মজুতদারি ও কালোবাজারির সুযোগ থাকছে।
সারা ভারত কৃষক সংঘর্ষ সমতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেভাবে সারাদেশের মানুষ হরতালে সাড়া দিয়েছেন তাতে এই আন্দোলনকে আরো মজবুত ভাবে গড়ে তোলার ডাক দিচ্ছেন তারা। কৃষক সংগঠনগুলি সরকারের নতুন দেওয়া প্রস্তাব খারিজ করে জানিয়েছেন যে-
১. ১২ ই ডিসেম্বর সারা দেশের টোল প্লাজাগুলোকে টোল মুক্ত করে দেওয়া হবে।
২. ১২ ই ডিসেম্বর দিল্লী- জয়পুর হাইওয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
৩. ১৪ ই ডিসেম্বর উত্তর ভারতের সমস্ত চাষীদের উদ্যেশ্যে ‘ দিল্লী চলো ‘ আহবান।
৪. ১৪ ই ডিসেম্বর অন্য সকল রাজ্যে চাষীদের উদ্দেশ্যে আহবান আঞ্চলিক স্তরে বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়ার।
৫. সমস্ত জিও প্রডাক্ট, আম্বানি/ আদানিদের শপিং মল, পেট্রোল পাম্প বয়কটের ডাক।
৬. সারাদেশ জুড়ে বিজেপি নেতৃত্ব ও তাদের জেলা, রাজ্য অফিস ঘেরাও।
৭. আন্দোলনের নতুন স্লোগান ” সরকার কি আসলি মজবুরি- আদানি,আম্বানি জমাখোড়ি।”