কাকলি চ্যাটার্জী: চিন্তন নিউজ-:১০ই আগস্ট:- কেরালার ভূমিধ্বসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩, উদ্ধার হল একটি ৬ মাসের শিশুর মৃতদেহ। শনিবার কোচির ইদুক্কি জেলার পেটিমুডিতে এক ভয়াবহ ভূমিধ্বসের পর এনডিআরএফের একটি উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকার্যের জন্য এলাকায় পৌঁছায়। শুরু হয়েছে উদ্ধারের কাজ। উদ্ধারকর্মীরা ইদুক্কির রাজামালাইয়ের ভূমিধ্বস থেকে আরও ১৬ টি মৃতদেহ পেয়েছেন, নিহতের মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৩ এ। এখনও ৩০ জনের বেশী নিখোঁজ, সন্ধান চলছে তাঁদের উদ্দেশ্যে বলে অফিসাররা জানান।
রবিবার প্রবল বৃষ্টিপাতের পর ভূমিধ্বস শুরু হওয়ার পরে চা বাগানের শ্রমিক কলোনীর লোকজন সাহায্যে এগিয়ে আসেন। পেটিমালা পাহাড়ের একটি অংশে চা শ্রমিকদের বসতি আছে। কেরালার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলিধরণ এবং বিরোধী দলনেতা রমেশ চেনিথালা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রাজ্যের আবহাওয়া দপ্তর বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য অগ্ৰিম সতর্কতা জারি করেছিল। আগামী তিনদিনও রয়েছে ভারী বর্ষণের আশঙ্কা। আলাপূজা, ইদুক্কি, মালাপুপুরম। কোঝিকোড়, ওয়ানাড, কান্নুরের অধিবাসীদের জন্য সর্বোচ্চ সর্তকতা জারি করা ছিল।
আবহাওয়া দপ্তর কোল্লাম,পাঠানমথিত্ত, কোট্টায়াম,ত্রিচুর, এর্নাকুলামের জন্য কমলা সতর্কতা জারি করেছে। রাজধানী তিরুবনন্তপুরমের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করেছে।ইদুক্কি জেলা প্রশাসন জানিয়েছে হোস্টেলগুলিতে থাকা শিক্ষার্থীরা করোনা আতঙ্কে ঐ অঞ্চলে নিজের নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছিল। এজন্য নিখোঁজের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান।নিখোঁজের তালিকাটি চা শ্রমিকদের নিয়োগকর্তা কান্নান দেওয়ান হিল প্লান্টেশন লিমিটেডের কর্মসংস্থানের রেজিস্টার অনুযায়ী করা হয়েছে। তবে স্থানীয় নেতারা বলেছেন যে অনেক শিক্ষার্থী এবং অতিথি রেজিস্টার এ থাকে না।
এখনও কেরালায় ভারী বর্ষণের আশঙ্কা। এই আশঙ্কা সত্যি হলে উদ্ধারকার্য গতি হারাবে। আইএমডি অফিসাররা জানান জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর অন্তত ছয়টি দল এখন ইদুক্কিতে উদ্ধার কাজে ব্যস্ত রয়েছে।