রাজ্য

হকারদের নিষিদ্ধ করেও আটকানো গেলনা লোকাল ট্রেনের ভীড়


সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১২ই নভেম্বর:- গতকাল থেকে শুরু হলো লোকাল ট্রেন চলাচল। রাজ্যসরকারের কাছে আবেদন ছিল দূরত্ব বিধি যাতে মানা হয় সেদিকে খেয়াল রাখার। কিন্তু প্রথম দিনেই কি মানা হলো দূরত্ব বিধি? আগের মতো বাদুরঝোলা ভীড় না দেখা গেলেও দূরত্ব বিধি শিকেয় তুলে যাতায়াত করেছেন সাধারণ যাত্রীরা। তবে এতদিন পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে ফলে যাত্রীর চাপ বেশী ছিল।

এদিন শিয়ালদহ ডিভিশনে যাত্রী সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। ক্যানিং,ডায়মন্ডহারবার, সোনারপুর শাখায় উপচে পড়া ভীড় লক্ষ করা গেছে। বনগাঁ, গেদে, বারাসাত , হাসনাবাদ ও প্রচন্ড ভীড় লক্ষ করা গেছে। অন্যান্য জায়গার থেকে দক্ষিণ পূর্ব শাখায় তুলনামূলক ভাবে কম ভীড় ছিল। রেল থেকে জানানো হয়েছে গতকাল ব্যস্ত সময়ে প্রায় ৮৪ শতাংশ ট্রেন চলাচল করেছে। দু একদিনের মধ্যে ৯৫ শতাংশ ট্রেন চলাচল শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে রেল। রেলযাত্রীদের মধ্যেও সচেতনতার অভাব লক্ষ করা গেছে। দূরত্ব বিধিতো মানেনই নি উল্টে রীতিমতো মারপিট করে বনগাঁ লাইনের ট্রেনে উঠেছেন। প্রথম দিনের এই অসচেতনতা দেখে এক সিআরপিএফ জওয়ানকে বলতে শোনা গেছে এভাবে চলতে থাকলে করোনা সংক্রমণ আটকানো অসম্ভব।

রানাঘাটের এক যাত্রী তাঁর ক্যানসার আক্রান্ত স্ত্রী কে নিয়ে স্টেশনে টিকিট কাটতে গিয়ে দেখেন এক যাত্রী অন্য এক যাত্রীর ঘাড়ের উপর দিয়ে টিকিট এর জন্য হাত বাড়িয়েছেন।। নৈহাটি স্টেশন এর পর ভীড় এর চোটে অনেকেই মাস্ক খুলে ফেলছিলেন। মাস্ক না পরার জন্য বেশ কয়েকজনকে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।। হুগলি জেলার বিভিন্ন স্টেশনে বেশ ভালো রকম কড়াকড়ি দেখা গেছে।

ট্রেন চলাচল শুরু করার পর বনগাঁ, বসিরহাট বারাসাত ,দত্তপুকুর বিভিন্ন জায়গা থেকে যারা কলকাতা সহ অন্যান্য জায়গায় কাজে যেতেন তাঁরা কাজ এ যোগ দেওয়ার জন্য বেরোতে পেরেছেন। তবে হকারদের স্টেশনে ঢোকা বারণ করা আছে। এমনকি প্ল্যাটফর্মের দোকান গুলোও খোলা যাবেনা। গতকাল এই নিয়ে বর্ধমান স্টেশন এর কাছে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও করা হয়।

রেল বা রাজ্যসরকার দুই তরফেই যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি নিয়ম রক্ষায় গাফিলতি দেখা গেছে। যে কারণ দেখিয়ে হকারদের স্টেশনে ঢোকা নিষেধ, তাদের রুজি রুটির সংস্থান ফিরিয়ে দেওয়া গেল না। অথচ ভীড় এড়ানো গেল না।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।