রাজ্য

তাঁত ও হোসিয়ারী শিল্পীদের সংকট।


কাকলি চ্যাটার্জি: চিন্তন নিউজ:১৫ই এপ্রিল:- বিশ্বমন্দা,বেকারত্ব, দারিদ্র্য, খাদ্যসঙ্কট, সাম্প্রদায়িক গুজব,জনতা কার্ফু প্রভৃতি শব্দবন্ধ এবং চরম জাত -পাত , ধর্মবর্ণের সামাজিক বিভাজনে অসহায় পশ্চিমবঙ্গবাসীর জীবনে নীরবে পালিত হল ১ লা বৈশাখ ১৪২৭. বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণের হাতেখড়ি হয় এই দিনটিতে। নববর্ষ, দুর্গাপূজা, পবিত্র ঈদ—এই তিনটি উৎসবকে সামনে রেখে চাঙ্গা হয়ে ওঠে হোসিয়ারী শিল্প এবং কোণঠাসা হয়ে পড়া তাঁত শিল্পের বাজার।

হুগলির ধনেখালি, রাজবলহাট, নদীয়ার শান্তিপুর, ফুলিয়া, বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যপূর্ণ বালুচরি জগদ্বিখ্যাত। পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদের তসরের তো বিশ্বজুড়ে পরিচিতি। আর্থিক অনটনের মধ্যে ও যদিও বা কোনোমতে টিকে ছিল লকডাউনের ফলে বন্ধ তাঁতের কাজ। পয়লা বৈশাখের বাজারে যাও বা দুপয়সা বাড়তি আসত, তাও হলো না। তৈরি জিনিস বাড়িতে মজুত, বিক্রির উপায় নেই। সরকার তন্তুবায়ীদের জন্য কোনো পৃথক ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেনি।

অন্যদিকে হাঁড়ি চড়ছে না নিউমার্কেট, হাতিবাগান, গড়িয়াহাট, শিয়ালদার হাজার হাজার হকার ভাইদের। চৈত্রের বাজার তো হলোইনা,সামনে ঈদ আসছে কিন্তু আশংকা থেকেই যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। নিজের সঞ্চয়ে যা ছিল এবং মহাজন বা ব্যাংক থেকে ধার নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার মাল কিনে বস্তাবন্দি। কবে বিক্রি করতে পারবেন কেউ জানেন না। এই মাসে লাভের অংক দাঁড়ায় কম করে ২৫–৩০ হাজার টাকা। গোটা রাজ্যজুড়ে ১০–১২ হাজার কোটি টাকা ধাক্কার মুখে পড়তে হল হকারদের। কীভাবে ধার শোধ করবেন, কীভাবে সংসার চলবে আশংকার দিন গোণা।

এ রাজ্যের সরকারের কাছে পশ্চিমবঙ্গ স্ট্রিট হকার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের আবেদন ন্যুনতম ৫০০০ টাকা দিতে হবে প্রতি হকারভাইকে ও পরিবার পিছু ৩৫ কেজি খাদ্যশস্য দিক সরকার , যতদিন পর্যন্ত না স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।