রাজ্য

স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আদালতের


কাকলি চ্যাটার্জি: চিন্তন নিউজ:১১ই জানুয়ারি:– যে কোনো সার্ভিস কমিশনের সার্ভিস দীর্ঘ কয়েকবছর যাবৎ প্রশ্নচিহ্নের সম্মুখীন। স্কুল সার্ভিস কমিশনও এর বাইরে নয়। মেধাতালিকার অন্তর্ভুক্ত এবং তালিকার বাইরে থাকা পরিক্ষার্থীরা অসংখ্যবার আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছেন প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের দুর্নীতি এবং অকর্মণ্যতার বিরুদ্ধে। মেধার ভিত্তিতে সময়মতো চাকুরী পাওয়া আজ পশ্চিমবঙ্গে অলীক কল্পনা মাত্র!

স্কুলসার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান একাধিকবার ভর্তসিত হয়েছেন আদালতের কাছে। হলফনামা জমা দেওয়া, ভুল স্বীকার করার মত ঘটনা এখন নিত্যদিনের। আবারও চেয়ারম্যান এর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আদালতের।

মেধাতালিকায় নিচের দিকে নাম থাকা প্রার্থী শিক্ষক পদে রেকোমেণ্ডেশন পেয়েছেন কিন্তু তাদের চেয়ে ওপরের দিকে নাম থাকলেও তিনি চাকরির রেকোমেণ্ডেশন পাননি এই অভিযোগ নিয়েই আদালতে বিচার চেয়ে অভিযোগ করেন এক পরীক্ষার্থী সুমনা লায়েক।এক্ষেত্রে কমিশনের যুক্তি মোবাইলে কাউন্সেলিং এর বার্তা পাঠালেও উপস্থিত হননি ঐ প্রার্থী তাই তাঁকে কোনো রেকোমেণ্ডেশন দেওয়া হয়নি।

কমিশনের রিপোর্ট সবিস্তার পড়ে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, রিপোর্টটি অসম্পূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর। শুধুমাত্র মোবাইলে মেসেজে বার্তা পাঠিয়ে কাউন্সেলিং এ ডাকা আইনসঙ্গত পন্থা নয়, প্রযুক্তিগত নানা কারনে গ্রাহকের মোবাইলে মেসেজ নাও পৌছাতে পারে, তাই স্পিড পোস্টে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ পাঠানো উচিৎ।

অসম্পূর্ণ ও অর্ধসত্য রিপোর্ট নিয়ে বিচারপতি একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, “আমি বুঝতে পারছিনা স্কুল সার্ভিস কমিশন কি ধরনের লোককে এই সব পদে বসিয়েছেন।”

কমিশনের একপেশে ও বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট দাখিলের জন্য কমিশনের চেয়ারম্যানকে ব্যাক্তিগতভাবে তাঁর নিজের পকেট থেকে ২০হাজার টাকা মামলাকারী প্রার্থীকে চেকের মাধ্যমে আগামী ১৫দিনের মধ্যে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এছাড়াও মামলাকারী প্রার্থীর জন্য আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ঘোষিত শুন্যপদের মধ্য থেকে কাউন্সেলিং করার নির্দেশ দেন বিচারপতি, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ঘোষিত শুন্যপদের কোন অবশিষ্ট না থাকলে প্রার্থীর বাড়ির পাশাপাশি সম্ভাব্য ৫টি শুন্যপদ দেখিয়ে কাউন্সেলিং করতে হবে। এবং ৪৫ দিনের মধ্যে তাঁর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে।

বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য, এই পদে চেয়ারম্যানকে বহাল রাখা যুক্তিযুক্ত কি না তাও শিক্ষা দপ্তরকে বিবেচনা করে দেখার প্রস্তাব দিয়ে শিক্ষা সচিব ও মুখ্য সচিবকে রায়ের কপি পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।