সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:২৩শে সেপ্টেম্বর:– গত কয়েকদিন ধরে নিম্নচাপের জেরে পুরো রাজ্য প্রবল বৃষ্টির কবলে পড়েছিল। কলকাতাতেও রেকর্ড পরিমান বৃষ্টি হয় ফলে রাস্তায় আজ বেশ কয়েকদিন ধরে জমে রয়েছে জল। নিকাশি ব্যবস্থা খারাপ হবার ফলে জল সরছেও না।আর একারণে দমদমের মতিঝিল এলাকার অবস্থাও খুব ই খারাপ। আর এই জমা জলের কারণে ঘটে গেল চরম বিপদ। ঐ এলাকার দুটি কিশোরী স্নেহা বনিক ও অনুষ্কা নন্দী ছেলেমানুষী বুদ্ধিতেই বুধবার বিকেলে জলভেঙে বেরিয়েছিল। তখন তারা জানতো না কি অপেক্ষা করছে তাদের জন্য। জলের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে গিয়ে একজন বন্ধু একটি ল্যাম্পপোষ্টে হাত দেয় এবং সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয় আর তাকে বাঁচাতে গিয়ে সে দ্বিতীয় জনও বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয় । দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে দুজনে।
এই ঘটনায় এলাকার লোকজন শোকস্তব্ধ সঙ্গে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে প্রশাসনের উপরে। আর সেটা নজরে পড়েছে এইকারণে যখন এলাকার সাংসদ সৌগত রায় সেখানে গেলে। সৌগত রায় সেখানে গিয়েই মৃত বালিকা দের পরিবারকে দু লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে যান। অনুষ্কার পরিবার সঙ্গে সঙ্গে ঐ টাকা নিতে অস্বীকার করেন এবং বলেন যে তাঁরা চারলক্ষ টাকা দেবেন,বাড়ী ঘর সব কিছু বিক্রি করে যা টাকা হয় সব দিয়ে দেবেন শুধু তাঁর মেয়েকে ফেরত চাই। তাঁদের অভিযোগ হাইটেনশন লাইনের তার বৃষ্টির আগে থেকেই ওখানে ছিঁড়ে পড়েছিল । বারবার বিদ্যুৎ দপ্তরকে জানিয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দা রা ,কিন্তু ঐ তার সরানো হয়নি। ইতিমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয় এবং ঐ তার জলে ঢুবে যায়। কিশোরী দুজন বুঝতেই পারেনি জলের মধ্যে রয়েছে তাদের মৃত্যুফাঁদ। এদিকে দুই বালিকার দেহ ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে। অনুষ্কার দেহ তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আর স্নেহার দেহ আজ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে।