দেশ বিদেশ

সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেও ভারতের পাশে “চিনা ব্যাঙ্ক”।


কল্পনা গুপ্ত, চিন্তন নিউজ:১৯শে জুন:- এআইআইবি অর্থাৎ এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক মূলত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এই ব্যাংকটি মূলত এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে বিভিন্ন দেশের আর্থিক ও সামাজিক পরিকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে। এর স্থায়ী সদস্য সংখ্যা ৭৮, এছাড়াও আরো ২৪টি অস্থায়ী সদস্য দেশ আছে। ব্যাংকটির সদর দপ্তর বেজিংয়ে। এর নিয়ন্ত্রণ ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সবই চিনের হাতে। বর্তমানে চিন আর ভারতের সম্পর্ক তলানিতে, পূর্ব লাদাখে দুই দেশের মধ্যে রীতিমতো যুদ্ধের আবহ। সাড়ে চার দশক পরে সোমবার রাতে ফের চিন সীমান্তে রক্ত ঝরেছে ভারতীয় জওয়ানদের, শহিদ হয়েছেন ২০জন। সীমান্তের ওপারেও বহু প্রাণহানি ঘটেছে। এইসব উপেক্ষা করেই পাশে এসে দাঁড়ালো চিনের তত্ত্বাবধানে থাকা এআইআইবি। করোনা পরবর্তী অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ভারতের জন্য ৭৫কোটি ডলার বা প্রায় ৫৭হাজার কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করলো এই সংস্থাটি।

এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতের প্রায় ২৭০মিলিয়ন মানুষ জাতীয় দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করছে এবং ৮১ মিলিয়ন মানুষ অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাস করে, যেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবার কোন সুবিধাই পাওয়া যায় না। করোনা মহামারীর কারণে ভারত চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ” এর আগেও করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় ভারতকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিলো ব্যাংকটি।

লাদাখে অশান্তির জেরে ভারতে যখন চিনা পণ্য বয়কটের হিড়িক চলছে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় চিনা রাষ্ট্রপতি জি জিনপিং এর ছবি পোড়াচ্ছে সাধারণ মানুষ, এরই মধ্যে ভারতের ভেঙে পড়া অর্থনীতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে ঋণ দিচ্ছে চিনা নেতৃত্বাধীন এআইআইবি।

উল্লেখ্য সোমবার রাতে লাইন অফ একচুয়াল কন্ট্রোলে ভারত- চিন সেনা সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন ২০ জন ভারতীয় সেনা। অন্যদিকে চিনে হতাহত হয়েছেন ৪৩ জন জোওয়ান। সীমান্ত লাগোয়া হিমাচল প্রদেশে জারি হয়েছে হাই এলার্ট।

এআইআইবি ঋণের কথা সামনে আসতেই নেটিজেনেরা নানা প্রকার মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন। চিন- ভারত সীমান্তে রয়েছে উত্তেজনা। যদিও উভয়পক্ষ থেকে উত্তেজনা প্রশমণের কথা বলা হচ্ছে, চলছে বৈঠকও।

এই প্রসঙ্গে সি পি আই এমের পলিট ব্যুরো সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্রের বক্তব্য স্মরণ করতে হয় – “…. আমাদের মাথা কারো কাছে বিক্রি হয়নি। কিন্তু যুদ্ধ কোন সমাধান নয়। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার নিষ্পত্তি করতে হবে। আমরা সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দিবস পালন করি। আমরা যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই।”


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।