নিউজ ডেস্ক:চিন্তন নিউজ:১৪ই অক্টোবর:–ধোঁয়াশায় ঢেকেছে রাজধানী। দূষণে জেরবার দিল্লি। আনন্দবিহারের অবস্থা সবথেকে খারাপ। হরিয়ানা, পঞ্জাবে খামারের বর্জ্য পোড়ানোর জেরে দূষণ বাড়ছে। রাতারাতি বেড়ে চলেছে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা। সোমবার কোয়ালিটি ইনডেক্স ২৩৯ ছুঁয়েছে, যা বিপজ্জনক৷ দিল্লি-সহ গাজিয়াবাদ, ফরিদাবাদ, নয়ডা, বাঘপত, মুরতালে বাতাসের অবস্থা শোচনীয় ৷
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ধূলিকণার স্বাভাবিক মাত্রা ৬০ পিএম। তথ্য অনুযায়ী, শহরের আবহাওয়াতে দূষণের মাত্রা এখন থাকছে মাঝারি থেকে খারাপ।
কলকাতাতেও মাত্রা ছাড়িয়েছে বায়ুদূষণ, উনুনের জ্বালানি থেকে বাড়ছে দূষণ।
সোমবার সকালে দিল্লি-এনসিআর-র বেশ কিছু যায়গার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল খারাপ থেকে মাঝারি। রোহিনী -২০৭ , দ্বারকা – ১৯৪, পুসা রোড – ১৮২, মন্দির মার্গ- ১৭৯, নয়েডা সেক্টর ৬২ – ২১৭, নয়েডা সেক্টর ১২৫ – ২০২, গাজিয়াবাদ – ২৫২, আনন্দ বিহার -২১৮ এবং পাটপারগঞ্জ ১৮৯। রাজধানীর বায়ুদূষণের পিছনে নানা কারণের পাশাপাশি কাঠগড়ায় উঠেছে পড়শি রাজ্যের খড়কুটো পোড়ানোর অভ্যাসও। তাতেই নাকি দূষণের ছবিটা আরও জটিল হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার আনন্দ বিহার-এর এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৩২৭, উজিরপুর ৩২৩, বিবেক বিহার ৩১৭, মুন্ডকা ৩০৯, বাওয়ানা ৩০২, এবং জাহাঙ্গীরপুরী ৩০০।
শনিবারই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, পার্শ্ববর্তী রাজ্যে ফসল পোড়ানোর দূষিত ধোঁয়া ঢুকছে দিল্লিতে৷ যার জেরে খারাপ হচ্ছে পরিবেশ৷ তৈরি হচ্চে বিষ বাতাস৷ কেন্দ্রের পূর্বাভাস, ফসল পোড়ানোর ফলে তৈরি হওয়া ধোঁয়ার জেরে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে দিল্লির দূষণের মাত্রা ৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে৷ হরিয়ানায় ফসল পোড়ানো খানিকটা কমলেও, পঞ্জাবে ৪৫ শতাংশ বেড়েছে এই ধরনের ঘটনা৷ ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশে, দুই রাজ্যেই যে সব চাষিরা ফসল পোড়াচ্ছেন, তাঁদের চালান কেটে জরিমানা করা শুরু হয়েছে৷ তাতেও অবস্থা বিশেষ পরিবর্তন হয়নি৷