রণদীপ মিত্র: চিন্তন নিউজ:২৫শে অক্টোবর:- বীরভূম ঝাড়খন্ড সীমান্তে এক আদিবাসী নিবিড় গ্রামে স্তম্ভিত করার মত এই ঘটনা ঘটেছে। মহম্মদবাজার থানার ভাঁড়কাটা পঞ্চায়েতের অধীন গ্রাম হামিদপুর গ্রাম। সেই গ্রামেই দিদিকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে চুটিয়ে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠেছে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। বীরভূমের হামিদপুরে স্বামী ও তিন ছেলেকে নিয়ে বাস কাহা হাঁসদার (৫৭)।
একই গ্রামে থাকা এই দিনমজুর মহিলার দুই ভাই দিলীপ ও সোম মারান্ডির বিরুদ্ধে শনিবার গভীর রাতে কুড়ুল দিয়ে চুটিয়ে নির্মমভাবে তাদের দিদিকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ভাইয়েদের সাথে দিদির বিবাদ সম্পত্তি নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরেই এই বিবাদ চলছে। দিন কয়েক আগে গ্রামের এক তরুনের মৃত্যু হওয়ার পর খুন হওয়া কাহা হাঁসদাকে ‘ডাইনি’ বলে রব তোলে তার দুই ভাই ও সাথে থাকা গ্রামের একাংশ। গ্রামবাসীদের মুখ থেকে জানা গেছে, আসলে সম্পত্তির দখল নিতেই এই কৌশল নিয়েছিল অভিযুক্ত দুই ভাই ও তাদের কয়েকজন সঙ্গীসাথী।
এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, এ নিয়ে গ্রামে বৈঠকও হয়েছিল। পুলিসের কাছেও খবর পৌছেছিল। কিন্তু স্রেফ নজরদারির অভাব ও উদাসীনতায় চরম ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছে গ্রামকে। বেঘোরে প্রান দিতে হয়েছে মহিলাকে। আদিবাসী অধিকার মঞ্চের নেতা সুশীল ঢ্যাঙর বলেছেন, ”এই গ্রামের গত আট বছরে খুনের ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকটি। গ্রামে প্রশাসনের সামাজিক নজরদারির যে চরম খামতি রয়েছে আরও একবার স্পষ্ট হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে কুসংস্কারকে।” ঘটনার পর থেকে শুনশান হয়ে গিয়েছে গ্রাম। অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছে। বীরভূমের পুলিস সুপার শ্যাম সিং জানিয়েছেন “এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। কি কারনে ঘটনা তার তদন্ত শুরু হয়েছে।”