শুভাশীষ সরকার: চিন্তন নিউজ:২৩শে নভেম্বর:– ১লা জানুয়ারী ২০২২ থেকে চা শিল্পে নূন্যতম মজুরী চালুর দাবিতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন চা বাগানের গেটে মঙ্গলবার বিক্ষোভে সামিল হল চা শ্রমিকরা । সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চা শ্রমিকদের জমির পাট্টার দাবি। চা শ্রমিকদের বিভিন্ন ইউনিয়নের যুক্তমঞ্চ জয়েন্ট ফোরাম মঙ্গল ও বুধবার এই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ চা শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরীর ফয়শলা হয়নি। এবার আর ধৈর্য্য ধরতে রাজি নয় শ্রমিকরা । দীর্ঘদিন লড়াইয়ের পরও এই মূহুর্তে চা শ্রমিকরা বড় বাগানের ক্ষেত্রে মাত্র ২০২ টাকা মজুরী পাচ্ছেন । ছোট বাগানের ক্ষেত্রে মজুরী আরো কম।

চা শ্রমিকদের লাগাতার আন্দোলনের ফলেই ২০১৫ সালে নূন্যতম মজুরী নির্ধারনের জন্য কমিটি গঠন করতে বাধ্য হয় রাজ্য সরকার। এবছরই তৈরী হয় শ্রমিক, মালিক ও সরকারী প্রতিনিধিদের নিয়ে গড়া ৬ সদস্যের কমিটি। কমিটিতে সব আলোচনা হয়ে গেলেও এখন নূন্যতম মজুরী চালু করা নিয়ে নতুন করে গড়িমশি শুরু করেছে মালিক পক্ষ। অথচ ১লা জানুয়ারী থেকে চা শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরী চালু হবে বলে ঘোষনা করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। ফলে জটিলতা তৈরী হয়েছে। এদিকে চা শ্রমিকরাও বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন । তারই অঙ্গ হিসাবে মঙ্গল ও বুধবার বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে জয়েন্ট ফোরাম।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের জয়পুর, ভান্ডিগুড়ি, যাদবপুর চা বাগানের ফ্যাক্টরী গেটে মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা। বিক্ষোভ শেষে শ্রমিকদের প্রতিনিধি দল ম্যানেজারের হাতে তুলে দেন দাবিপত্র। নেতৃত্ব দেন চা শ্রমিক নেতা অমল নায়েক, জগদীশ মাহাতো, অবিনাশ বাখলা, আনন্দ দাস, ঝন্টু ওড়াও, যোগেশ রায়, পরিমল লোহার, বিপুল ওড়াও প্রমূখ। বুধবার বিক্ষোভ হবে ডেঙ্গুয়াঝাড়, করলাভ্যালী, সরস্বতীপুর, শিকারপুরসহ অন্যান্য চা বাগানে।
