মাধবী ঘোষ: চিন্তন নিউজ:১০ই জুলাই:–ঝাড়গ্রামে তিনটি হাতির মৃত্যু, এলাকায় চাঞ্চল্য
তিনটি হাতির মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঝাড়গ্রাম জেলার বিষ্ণুপুর থানার মালাবাতি জঙ্গল লাগোয়া সাত বাকি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। 3 টি হাতির মৃত্যুর ঘটনায় বড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়েছে বনদপ্তর। কিভাবে 3 টি হাতির মৃত্যু হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ গ্রামবাসীরা। তবে অনেকেই জানাচ্ছেন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এই হাতি তিনটির ।
এদিকে বুনো হাতির হামলা ঠেকাতে জঙ্গলমহল পুরুলিয়ায় পরিখা খনন করেছে বনদপ্তর। আপাতত জেলার তিনটি বনাঞ্চলে এই এলিফ্যান্ট ট্রুফ ট্রেঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করেছে পুরুলিয়া বন বিভাগ। ঝালদা বাগমুন্ডি ও বলরামপুর বনাঞ্চলে জঙ্গলমহলের প্ল্যানের আওতায় এক কোটিরও বেশি অর্থ খরচ করে কাজ শুরু হয়েছে। তিন বনাঞ্চল মিলিয়ে প্রায় 26 কিলোমিটার পরীখা কেটে এবার হাতির হামলা রক্ষার লক্ষ্যে এগোচ্ছে বনদপ্তর।
অতীতে বাম আমলে 2008 থেকে 2009 অর্থবর্ষে ঝালদায় এই পরিখা খনন করা হয়। বসানো হয়েছিল বৈদ্যুতিক তারের বেড়া। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। ঝাড়খণ্ডের হাজারীবাগ থেকে সীমানা পেরিয়ে পুরুলিয়ার বনাঞ্চলে বুনো হাতির হামলা কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না। ফসলের ক্ষতি বা কাঁচা বাড়ি ভাঙ্গা যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোজি হাতি মানুষের অসম লড়াই চলছে ঝালদা বাগমুন্ডি তে। এসবের মোকাবিলায় এবার পরিখা খনন কি সমাধান বলে মনে করছেন বনো আধিকারিকরা।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে ঝালদা বনাঞ্চলে এই পরীক্ষা কাটতে বরাদ্দ হয়েছে ছত্রিশ লক্ষ টাকা, বাগমুন্ডি প্রকল্পের খরচ পঁয়তাল্লিশ লক্ষ এবং বলরামপুরে এই কাজ করতে খরচ ধরা হয়েছে সাতাশ লক্ষ টাকা। এই পরীখা গুলি সাড়ে নয় ফুট করে চওড়া ও পাঁচ ফুট করে গভীর হবে। পুরুলিয়া বিভাগের ডি এফ ও রামপ্রসাদ বদানার কথায়,’জঙ্গলমহল অ্যাকশন প্ল্যান এর অর্থ আমরা এই কাজ করছি। আশা করছি এই কাজে হাতির হামলা অনেকটাই ঠেকানো যাবে।’ঝাড়খন্ড থেকে আশা বুনো হাতির দল পুরুলিয়ার জঙ্গলে ঢুকে পড়ার পর আর নিজেদের জায়গায় ফিরতে চাইছে না। আরেকটি কারণ তাঁর আরেকটি কারণ, এই হাজারীবাগের হাতির দল ঝাড়খন্ডে ফেরার পথ ধরলে সেখানকার বনকর্মীদের তাড়া খেয়ে আবার বাংলার সিমানাতেই ফিরে আসছে ফলে ত্রস্ত তারাও।