সায়ঙ্ক মন্ডল, চিন্তন নিউজ, ১০ই অক্টোবর: ৩৭ জন পড়ুয়াকে নিয়ে শুরু হওয়া শ্রীরামপুর কলেজের অল্ডিন হাউজ বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে পরিনত। ১৮১৮ সালে শুরু হওয়া শ্রীরামপুর কলেজের বয়স দ্বিশতবর্ষেরও বেশি। শ্রীরামপুর কলেজ শুরু হয়েছিল ১৮১৮ সালে ৩৭ জন পড়ুয়াকে নিয়ে, শহরের জলকল এলাকায় জনৈক রেভারেন্ড অল্ডিন সাহেবের বাড়িতে। তার চার বছর পর ১৮২২ সালে শ্রীরামপুর কলেজ স্থানান্তরিত হয় বর্তমান ভবনে। তবে কলেজ শুরুর পথচলা যেই অল্ডিন হাউজে বর্তমানে তা ধ্বংসস্তূপে পরিনত। কলেজের দ্বিশতবর্ষের আলো পৌঁছায় না সেখানে, চারিদিকে ঘন জঙ্গল, সাপের বাসা ছড়িয়ে আছে সেই স্থানে।
তবে ২০১৮ সালে কলেজের দ্বিশতবর্ষ উপলক্ষে পুরনো ভবনের সংস্কারের দাবি তোলা হয়।শ্রীরামপুর কলেজের অন্যতম তিনজন প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন উইলিয়াম কেরি, জ্যোশুয়া মার্শম্যান ও উইলিয়াম ওয়ার্ড। উইলিয়াম কেরির কথা সকলের জানলেও জ্যোশুয়া মার্শম্যান ও উইলিয়াম ওয়ার্ডের কথা প্রচারিত হয়নি তেমনভাবে, তাই তাঁদের প্রতিকৃতি স্থাপনের দাবিও তোলা হয়েছিল সেই সভায়।
শহরের মানুষ থেকে শিক্ষাব্রতী সকলেই চায় বিভিন্ন বিষয়ের উপর পুরোপুরিভাবে স্নাতকোত্তর শিক্ষাক্রম শ্রীরামপুর কলেজে শুরু হোক। সেই সময় ক্যাম্পাসের পরিসর বৃদ্ধির জন্য আবেদনের প্রস্তাবও রাখা হয়। শ্রীরামপুর কলেজের পাশাপাশি উঠে আসে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস এর কথা। হরফ শিল্পে যে বিপ্লব শুরু হয়েছিল তার প্রথম উদ্যোগ শ্রীরামপুরেই। পঞ্চানন কর্মকার এবং তাঁর উত্তরসূরিরা শ্রীরামপুরের হরফ শিল্পকে এক অন্য মাত্রা দিয়েছিল। শ্রীরামপুর কলেজকে ‘গ্রিন কলেজ’ তৈরির জন্য একাধিক পরিকল্পনা নিয়ে সেই অনুযায়ী কাজও চলছে।