প্রতিবেদক: মৃত্যুঞ্জয় সরকার, প্রাক্তন সম্পাদক, রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি, দার্জিলিং জেলা শাখা:— চিন্তন নিউজ:০৮/০৯/২০২৩:– রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো ১৯৫৬ সালের ৮ ই সেপ্টেম্বর:—-
প্রেক্ষিত:
১৯৫০ সালে, তখনকার রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের যে বেতন পুন:বিন্যাস হয়, তাতে রাজ্য সরকারের উচ্চতম ও নিম্নতম কর্মচারীদের বেতনের ফারাক ছিলো ৩৪ গুন। এরজন্য কর্মচারীদের দৈনন্দিন সংসার চালানোই কষ্টকর হচ্ছিল, তাই ১৯৫৬ সালের ৯ই জুন, রাইটার্স বিল্ডিং এর ৭ টি সমিতি একসঙ্গে বসে যৌথ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেয়। ১২ ই জুন, বিভিন্ন সমিতির পক্ষ থেকে “স্মারকলিপি ” পেশ করা হয়, যার বয়ান এক। দাবীগুলি ছিলো
(১) দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধির ভিত্তিতে মাসিক ২৫ টাকা করে বিশেষ ভাতা দিতে হবে,
কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের হারে মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে,
পুজো অগ্রীম দিতে হবে।
ধারাবাহিক ঐতিহ্য – জন্মলগ্ন থেকে ই রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটি কর্মচারীদের অভাব অভিযোগ নিয়ে লড়াই আন্দোলন সংগ্রাম করে চলেছে।
বর্তমান ভুমিকা – বর্তমানে মমতা ব্যানার্জি র নেতৃত্বে তৃনমুল কংগ্রেস এর সরকার কর্মচারীদের কোনও দাবীদাওয়া র কথা শুনতেই চাইছে না, কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দিতে বললে, মুখ্যমন্ত্রী বলেন “কুকুরের মতো ঘেউঘেউ করবেন না “। রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির নেতৃত্ব রা কর্মচারীদের আশু দাবী দাওয়া গুলো নিয়ে বারেবারে, নবান্ন অভিযান, পে কমিশন দপ্তর অভিযান, বিধানসভা অভিযান করেছেন, যারজন্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির ১৬ জন কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলী র সদস্যদের মিরিক, গরুবাথান,বিজনবারি, দার্জিলিং, শিলিগুড়ি সহ মুর্শিদাবাদ জেলায় বদলী করে দেয়, মুখ্যমন্ত্রী বারেবারে চেষ্টা করেছেন রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটিকে ভেঙে দিতে, কিন্তু রাজ্য কোঅর্ডিনেশন চিরকাল মাথা উচু করে ছিলো আছে এবং থাকবে। রাজ্য কোঅর্ডিনেশন সবসময় কর্মচারীদের ও জনগনের স্বার্থে কাজ করেছে এবং ভবিষ্যতে ও একই ভাবে কাজ করে যাবে।