চিন্তন নিউজ: ২১শে সেপ্টেম্বর:-বারুইপুর পূর্ব: রিপোর্টার- সুচরিতা বসু :- গতকাল অর্থাৎ ২০ সেপ্টেম্বর, সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির বারুইপুর পূর্ব আঞ্চলিক কমিটির পক্ষ থেকে এলাকার অন্যতম সন্ত্ৰস্ত এলাকা হাড়দহ এ মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় l
রাজ্য জুড়ে ক্রমাগত মহিলা নির্যাতন ও মূল্যবৃদ্ধি এর প্রতিবাদে বারুইপুর পূর্ব অঞ্চল কমিটি পথসভার এর ডাক দেয়। কার্যত পথসভা হলেও মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি সমাবেশের চেহারা নেয় l রাজ্যের শাসক দলের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই প্রচুর মানুষ উপস্থিত হোন l সমাবেশ এর সভাপতিত্ব করেন এআইডিডব্লিউএ জেলা সম্পাদিকা মোনালিসা সিনহা ও বক্তব্য রাখেন রাজ্য সম্পাদিকা কনীনিকা বোস ও নেতৃস্থানীয়। সকলেই রাজ্যে ও কেন্দ্রীয় সরকারের মহিলা দের উপর বেড়ে চলা নির্যাতন এর বিরুদ্ধে ভূমিকার সমালোচনা করেন l তার ওপর তীব্র ভাবে বেড়ে চলা মূল্য বৃদ্ধি ও বেকারত্ব নিয়েও প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত করতে বলেন l অসহায় ভাবে সাধারণ মানুষ কোরোনায় বিনাচিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন আর দুই সরকার মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়িয়ে আর্তনাদ চাপা দেওয়ার চেস্টl করছে । এর তীব্র নিন্দা করেন । পথসভায় মহিলাদের স্বাস্থ্য সামগ্ৰী প্রদান করেন কনীনিকা বোস lপথসভা শেষ হওয়ার পর মহিলারা এলাকায় মশাল মিছিল সংগঠিত করেন l এর প্রভাব এলাকায় চোখে পড়ে l
ক্যানিং: রিপোর্টার- বিভাষ সাহা: গতকাল ২০ সেপ্টেম্বর ,ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন ক্যানিং অঞ্চল কমিটির ডাকে ক্যানিং এলাকার নাগরিঘাটা এলাকায় কাজের দাবিতে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের ভয়ানক বেকারত্ব হার যা বিগত ৪৫ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। উপর করানোর অতিমারী অবস্থা আরো তীব্রই করেছে। এই অবস্থায় কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করার দায়িত্ব দেশের সরকারে র কিন্তু সরকার দেশের সম্পদ বিক্রি করে কর্পোরেট দের সেবায় নিয়োজিত হয়েছে l ইচ্ছাকৃত ভাবেই কর্মী সংকোচন করে বেকারত্ব আরো বাড়িয়ে তুলছে। একের পর এক মানুষ বিরোধী আইন করে মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। এমতাবস্থায় যুব ফেডারেশন এর দায়িত্ব হোলো এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা। এই অবস্থায় ক্যানিং ডিওয়াইএফআই অঞ্চল কমিটি মানুষকে সংগঠিত করতে সভার আয়োজন করে। উপস্থিত ছিলেন যুব আন্দোলনের স্থানীয় নেতৃত্ব সৌতিক মুখার্জী l তিনি কাজের দাবিকে নিয়ে আন্দোলন করতে আহ্বান করেন l সভায় উপস্থিতির হার ভালো ছিলো।

জয়নগর:রিপোর্টার- রমা চক্রবর্তী:-আজ ২১ সেপ্টেম্বর, পরিযায়ী শ্রমিক সংগঠন এর ডাকে জয়নগর বিডিও ঘেরাওয়ের অভিযান করা হয় l বর্তমান শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে সবথেকে সঙ্কটগ্রস্ত অবস্থায় কেউ থেকে থাকলে সে হোলো পরিযায়ী শ্রমিক l সরকার তার ভাষ্যে পরিযায়ী বলছে কিন্তু এরা আমাদের দেশ গড়ার কারিগর। তাই এদের অভিবাসী বলা ভালো। ঠিক যেমন সামাজিক দূরত্ব বলছেন। আসলে মানুষ সামাজিক প্রাণী । তার পক্ষে সামাজিক দূরত্ব পালন করতে পারেনা। ওটাকে শারীরিক দূরত্ব বলা শ্রেয়। আসলে সম্মাস্যা হচ্ছে এই সরকারে চিন্তা ভাবনায়। এরা তো শ্রমজীবী মানুষের উপর তীব্র আক্রমণ নামিয়ে এনেছে।
মাইগ্রান্ট লেবার ইউনিয়ন পক্ষে থেকে জয়নগর বিডিও অফিস ঘেরাও করে কাজ হারোনো শ্রমিকদের ভাতা ও বিকল্প কর্মসংস্থান এর জন্য রেগা প্রকল্পি দুর্নীতি মুক্ত করে কাজের বণ্টন এর ব্যবস্থার দাবি করা হয়। এদিন বামপন্থী কর্মী ও অভিবাসী শ্রমিকদের সমাবেশ কার্যত জানজোয়ারে পরিণত হয় l সাবাবেশে বক্তব্য পেশ করেন গণআন্দোল এর নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলি ও এলাকার স্থানীয় বিধায়ক রামশঙ্কর হালদার। সভার মধ্য থেকে দাবি দাবার স্মারকলিপি পাঠ করে বিডিওকে জানানো হয়।
