জেলা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা নিউজ


কাকলি চ্যাটার্জী:-চিন্তন নিউজ:- ২৪শে আগস্ট:- দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত-
বঙ্গোপসাগরের প্রবল জলোচ্ছ্বাস ও টানা বর্ষায় সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সাগর, নামখানা, পাথর প্রতিমা, গোসাবার মতো নদী ঘেরা দ্বীপ এলাকায় প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। অমাবস্যার ভরা কোটাল ও নিম্নচাপে টানা বর্ষায় বিস্তীর্ণ এলাকা নোনা জলে প্লাবিত হয়েছে। নামখানা থানার মৌশুনী দ্বীপে কয়েক কিলোমিটার নদী বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সি,পি,আই(এম) নেতা প্রভাত মন্ডল বলেন কেবলমাত্র মৌশুনী মৌজায় ১৫০টি বাড়ী ভেঙেছে ।সারা অঞ্চলে কয়েক শত বাড়ী ভেঙেছে। তিনি আরো বলেন যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা স্থানীয় বিদ্যালয়ে ,কমিউনিটি হলে,ফ্ল্যাট সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছেন।আরও বহু বাড়ী ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এলাকার বামপন্থী কর্মীরা সাধ্যমত এই অসহায় মানুষগুলোর সাহায্যে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত ও রাজ্য সরকারের কোন ভূমিকাই নেই। অঞ্চলের মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছেন। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দ্রুত ত্রাণের দাবি জানানো হয়েছে।

দেবু রায়:-চিন্তন নিউজ:- মানুষের প্রয়োজনে, মানুষের জন্য , মানুষের পাশে সিপিআই (এম)
গত ২৩শে অগাস্ট পূর্ব যাদবপুর সিপিআই(এম) এরিয়া কমিটির উদ্যোগে “শ্রমজীবী ক্যান্টিনের’ রান্নার ঘর উদ্বোধন করা হয়েছে।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় সিপিআই (এম) নেতা তথা এলাকার বিধায়ক মাননীয় সুজন চক্রবর্তী ,সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সহ নেত্যবৃন্দ ।এই শ্রমজীবী ক্যান্টিন থেকে মাত্র কুড়ি টাকার বিনিময়ে গরিব সাধারন মানুষকে দুপুরের খাবার দেওয়া হয় ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পতাকা উত্তোলন ও শহীদ বেদিতে মাল্য দান করা হয়।পতাকা তোলেন কমিউনিস্ট নেতা মাননীয় সঞ্জয় পুততুন্ড।এর পর এলাকার বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী তার মূল্য বান বক্তব্যের মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন!
এলাকার অনেক মানুষ তাঁদের সাধ্য মতো অনুদান দিয়ে “শ্রমজীবী ক্যান্টিন” রান্না ঘর তৈরি করতে সাহায্য করেন ।তাঁদের মধ্যে ছিলেন খনা সাহা, স্বপন ধর, সুমিত দাসগুপ্ত, প্রমুখ, এছাড়া সিনিয়র সিটিজেন এর পক্ষ থেকে শ্রী শোভন দাসগুপ্ত ৫০০০/- টাকা অনুদান দেন।
গতকালের খাদ্য তালিকায় ছিল ভাত, সয়াবিনের তরকারি, এরং ডিম ।মোট পাঁচশো প্যাকেট খাবার বিতরন করা হলেও দেরিতে আসার জন্য কিছু মানুষকে খালি হাতে ফিরতে হয়। এরিয়া কমিটি আরও সিধান্ত নিয়েছে এর পর থেকে আরও বেশি খাবার বানাতে হবে যাতে এক জন মানুষও যেন না ফিরে যায়। সিপিআই (এম) এর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।ইতিমধ্যে এলাকার মানুষ বলতে শুরু করেছে সিপিআই (এম) সরকারে নেই কিন্তু মানুষের দরকারে আছে ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।