রাজ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি সংক্রান্ত কিছু তথ্য…


মৌসুমী ঘোষ দাস: চিন্তন নিউজ: ০৩/০৯/২০২৪:- কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদগুলোতে বিগত কয়েক মাস যাবৎ ডীনের পদগুলি শূন্য। ফলত: অনুষদের প্রধান হিসেবে ডীনের অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন একাডেমিক কাজকর্ম ভীষনভাবে ক্ষতিগ্ৰস্থ এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পদন্নোতির বিযয়টাও সম্পূর্নভাবে বন্ধ। এহেন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ২০১১এর লিখিত ধারা অনুযায়ী ৬ মাসের জন্য অনুষদের সিনিয়র মোস্ট প্রফেসরকে অস্থায়ী ডীন নিযুক্তির দাবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে রাখে কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। উক্ত দাবীর পক্ষে প্রায় অর্দ্ধবৎসরাধিককালের ওপর একাধিক ডেপুটেশনের পর, বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ গত ১৯শে সেপ্টেম্বর চারটি ফ্যাকাল্টিতে চারজন ডীনকে নিযুক্ত করেন। কিন্তু আজও একাডেমিক ও অ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ ডিপার্টমেন্টগুলোকে ডীনস্ নিযুক্তিকরণের কোনো বিজ্ঞপ্তি সার্কুলেট করলো না বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার। এবিষয়ে গত ২৬শে সেপ্টেম্বর শিক্ষকদের ডেপুটেশনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত আসে রাজনৈতিক থ্রেট কালচারের চাপের। তথাপি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ শিক্ষক সমিতিকে জানায় ২৭ তারিখ সকাল ১১টার মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি বেরোবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে হুমকি সংস্কৃতিকে মোকাবিলা করার জন্য শিক্ষক সমিতি ২৭ তারিখেই একটি জরুরী সাধারণ সভার ডাক দেয়। প্রতিশ্রুতি সত্বেও ২৭ তারিখেও থ্রেট কালচারের চাপে বিজ্ঞপ্তি বার করতে পারলো না মাননীয় নিবন্ধক। শিক্ষক সমিতি ২৯ তারিখ আবার সাধারণ সভা ডাকে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩০ তারিখ অবস্থানে বসা হয়। মাননীয় উপাচার্যের ঘরে যখন শিক্ষকদের একটা ভালো অংশ আলোচনায় ব্যস্ত,তখন দেখা গেলো হুমকি সংস্কৃতির নিদর্শন। বহিরাগত বাহুবলী বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরের মুষ্টিমেয় হুমকি শক্তির সাথে উপাচার্যের ঘরে ঢুকলেন, চেয়ারে বসলেন ও একটিও বাক্যবিনিময় না করে মিনিট সাতেক পরে নিঃশব্দ থ্রেট দেখিয়ে চলে গেলো। এই হুমকির প্রতিবাদে পরের দিন ১লা অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কর্মবিরতির কল দেয়। প্রশাসন আবার প্রতিশ্রুতি দিলো ১ তারিখেই ডীনেদের সার্কুলার বার করবে। সেই দিনেও যখন বিজ্ঞপ্তি বেরোলো না, শিক্ষক সমিতির কর্মবিরতির আন্দোলন বর্ধিত হলো আগামী ৩ ও ৪ তারিখের জন্য।
শিক্ষক সমিতি জানান তারা স্তম্ভিত উপাচার্য মহাশয়ের সুরক্ষার বহর দেখে। তাঁরা উদ্বিগ্ন বিশ্ববি্দ্যালয়ের সামগ্ৰিক সিকিউরিটি নিয়ে। তাই তাঁরা বদ্ধপরিকর,” বিশ্ববিদ্যালয়কে আর. জি. কর হতে দেবে না। পূজোর ছুটির পর থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনকে বহিরাগত বাহুবলীদের থেকে মুক্ত করতে তাদের প্রতিবাদকে আরো জোরদার করা হবে বলে শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি তারকা দাস বসু মহাশয় জানান”।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।