তুলসী কুমার সিনহা: চিন্তন নিউজ:১৯শে সেপ্টেম্বর:- শনিবার ভোরে মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকল, রাণীনগর, জলঙ্গীর বিভিন্ন স্থানে হানা দিয়ে এনআইএ আল-কায়দার ছয় জন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি কেরালার এর্নাকুলামে আজ একই সময়ে তিন জঙ্গিকেও গ্রেফতার করেছে এনআইএ।
প্রসঙ্গত আল-কায়দা জঙ্গিদের দেশব্যাপী বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনার খবর সূত্র মারফত জানতে পেরে এনআইএ তদন্তে নামে। এনআইএ গত ১১ সেপ্টেম্বর নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে এফআই আর দায়ের করে । তারপর এন আই এ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মারফত জঙ্গিদের খোঁজ চালাতে থাকে। ইতিমধ্যে সূত্র মারফত জঙ্গিদের ছবি ও আরো কিছু তথ্য এন আই এ’ র হাতে চলে আসে।
গত বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে এক এনআইএ তদন্তের দল কলকাতায় আসে । আর একটি দল কেরলে যায়। গতকাল গভীর রাতে একই সঙ্গে মুর্শিদাবাদের রাণীনগর, ডোমকল ও জলঙ্গীর বিভিন্ন স্থানে ও কেরলের এর্নাকুলামে জঙ্গিদের খোঁজে এনআইএ অপারেশন শুরু করে। বিভিন্ন স্থানে গ্রেফতার করা হয় আল-কায়দার ৯ জঙ্গিকে। এনআইএ সূত্রে জানা গেছে মুর্শিদাবাদ ও এর্নাকুলাম এই দুই জায়গাতেই তল্লাশি অভিযান চালিয়ে আল-কায়দা ঘাঁটি থেকে এনআইএ গোয়েন্দারা প্রচুর অস্ত্র ও আইইডি উদ্ধার করেছে। গোয়েন্দাদের দাবি, পাকিস্তান থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ থেকে জঙ্গি সংগঠনের বিস্তার ও কাজ পরিচালনা করা হয়।
গোয়েন্দারা আরও দাবি করেন জঙ্গিদের ডেরায় তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস, নথিপত্র, জিহাদি সাহিত্য, ধারালো অস্ত্র, দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, বই ও নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি সহ বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য স্থানে নাশকতা ঘটানোই ছিল জঙ্গিদের টার্গেট।
কেরালা থেকে যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারাও মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। কাজের খোঁজে তারা কেরালায় যায়। মুর্শিদাবাদে যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের মধ্যে একজন ডোমকল কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স’র ২য় বর্ষের ছাত্র।ধৃতরা আল-কায়দা জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত বলে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।ধৃত ব্যক্তিরা এলাকার মানুষের সাথে খুব সহজ ভাবে মেলামেশা করতো বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
বাংলায় জঙ্গিদের ঘাঁটি, এই খবর প্রথম নয়, বারবার জঙ্গিদের খবর পাওয়া গেছে,এবং ধরপাকড়ও হয়েছে। তা সত্ত্বেও আবার এই ঘটনা, এতে প্রশাসনিক গাফিলতির কথায় উঠে আসছে। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। দিনে দিনে বাংলা কি জঙ্গিদের কাছে সেফ জোন হয়ে উঠছে? প্রশ্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে সাধারণ মানুষের।
‘
‘