সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:৭ই সেপ্টেম্বর:-পলিথিন ব্যাগ ছাড়া সাধারণ মানুষের জীবন অচল কিন্তু এই পলিথিন ডেকে আনছে মৃত্যু,এক নীরব ঘাতক এই পলিথিন।। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন যে, অতিরিক্ত পলিথিন ব্যবহার মানুষের শরীরে ক্যান্সার সহ নানা প্রকার রোগ ব্যাধি ডেকে আনছে আর তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে মানুষ সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে অকাল মৃত্যুও অসম্ভব কিছু নয়।।
পৃথিবীতে প্রতিটি দেশে পলিথিন ব্যবহার না করার জন্য আন্দোলন চলছে আর। যাতে পলিথিন ব্যবহার না করা হয় তার জন্য আইন জারি ও শাস্তির বিধান জারি করা হয়েছে। এই করে কিছুদিন পলিথিন ব্যাগ বন্ধ করা হয় তখন কাগজের ঠোঙা বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা গেলেও এখন আবার হাট, বাজার থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই রমরমিয়ে চলছে পলিথিন ব্যাগ ও বস্তা কারণ আইন জারি করা হলেও তার প্রয়োগের সঠিক ব্যবস্থা করা যায় নি।। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যায় নি বলে এখনও দোকান বাজার থেকে পলিথিন ব্যাগ এ করে জিনিস পত্র আনা নেওয়া, বাইরের হোটেল রেস্টুরেন্ট থেকে গরম খাবার আনা এমনকি ফ্রিজে জিনিস পত্র রাখতেও পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে।। আর এর ফলে মানুষের রোগ বালাই বাড়ছে।।
স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ যে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করার জন্য হরমোন এর গন্ডগোল শরীরে বাসা বাঁধে। এমনকি এর ফলে বন্ধ্যাত্ব আসতে পারে। হবু মায়ের গর্ভের ভ্রূণ পৃথিবীর আলো দেখা থেকে বঞ্চিত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে গরম খাবার পলিথিন ব্যাগ বা পাত্রে ঢালা মাত্র রাসায়নিক বিক্রিয়াতে বিসফেনল তৈরি হয় যা থাইরয়েড গ্রন্থির কাজে সমস্যা তৈরি করে।। তবু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও মানুষের অজ্ঞতার কারণে এই ক্ষতিকর জিনিস এর ব্যবহার বন্ধ করা যাচ্ছে না। প্রশাসন আইনের প্রয়োগ করতে পারে না ঠিকমত ফলে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করা যাচ্ছে না।
ক্যান্সার আক্রান্ত হন বহু মানুষ দীর্ঘদিন এই পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করার জন্য।। ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত করেছেন এই পলিথিনকে ।। এছাড়া কিডনি ও যকৃতের জটিল সমস্যা তৈরি করে এই পলিথিনের জিনিসপত্র। আরও এক সমস্যা তৈরি করে এই পলিথিন। এটা ব্যবহার করে ফেলে দেবার পর এটা প্রকৃতির ক্ষতি করে।। কারণ পলিথিন মাটিতে একশো বছরেও মেশে না , শুধুমাত্র মাটির গুণাগুণ নষ্ট করে দেয়। কিন্তু ব্যাবসায়ীরা জানিয়েছেন যে পাটের ব্যাগ অমিল আর কাপড়ের ব্যাগ এর দাম বেশী তাই বিকল্প হিসেবে তাঁরা সহজেই পাওয়া যায় প্লাস্টিক ব্যাগ বেছে নিতে বাধ্য হন।।আর ক্রেতাদের মত পলিথিন ব্যাগ বহন করা সহজ তাই এটাই ব্যবহার করা হয় ক্ষতির দিকটা তাঁরা ভাবেন নি। বিশেষজ্ঞদের মত অবিলম্বে এই জিনিস যদি ব্যবহার বন্ধ না করা হয় তবে আগামী দিন অতি ভয়ঙ্কর হতে চলেছে।। প্রশাসনকে আইনের প্রয়োগ ঠিকমতো করতে হবে যেমন তেমন মানুষকেও সচেতন হতে হবে।নিজেদের ভালোমন্দ বুঝতে হবে নয়তো আগামী দিন অতি ভয়ঙ্কর হতে চলেছে। প্রশাসন অনেক নতুন বিল পাশ করেছেন ,যা অনেকাংশে জনস্বার্থবিরোধী।অথচ যে ক্ষেত্রে মানুষের জীবনের প্রশ্ন জড়িয়ে আছে, সেক্ষেত্রে কড়া আইন আনতে সচেষ্ট না হওয়া দেশের মানুষের পক্ষে খুব ক্ষতিকর।।