জেলা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

অবিভক্ত বর্ধমান জেলায় বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মকান্ড সম্বন্ধে জানালেন কালনা জোনাল কমিটি, বিজ্ঞান মঞ্চের সম্পাদকমন্ডলীর বর্ষীয়ান সদস্য শংকর মুখার্জি।


সাক্ষাৎকারে কল্পনা গুপ্ত, চিন্তন নিউজ- গত ২৬ শে সেপ্টেম্বর বিদ্যাসাগরের জন্মদিন পালিত হয়েছিলো। আফতাব এভিন্যুয়ে নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সভাগৃহে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কালনা বিজ্ঞান মঞ্চের বিশিষ্ট সদস্য শংকর মুখার্জি এবং আরো অনেকে। তাদের সাথে আলাপচারিতায় যে তথ্য সংগৃহিত হয়েছে তাই এখানে উপস্থিত করছি।

অবিভক্ত বর্ধমান জেলার কালনায় ১৯৮৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের কাজ শুরু হয়। এই মঞ্চের কাজের মূল লক্ষ্য হলো জনমানসে যুক্তিনিষ্ঠা তৈরি করা। নতুন প্রজন্মকে আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে গড়ে তোলা, সব রকম কুসংস্কারমুক্ত করে গড়ে তোলা। বিজ্ঞান মঞ্চ গড়ে উঠেছিলো কিছু বৈজ্ঞানিক ও মেধাযুক্ত আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদী মানুষের সমাজ সদর্থক প্রকাশের এক প্লাটফর্ম রুপে। এইভাবে কালনা বিজ্ঞান ক্লাব একসময়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের জোনাল কমিটিতে পরিণত হয়। ১৯৮৭ সালে কিছু বিজ্ঞান মনস্ক ব্যক্তি কালনা কলেজে বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করেন। ১৯৮৮ তে আশুতোষ পাল ও অধ্যাপক অভিজিৎ সেনগুপ্ত ছিলেন এর যুগ্ম সম্পাদক। এই সময় থেকেই কালনা জোনাল কমিটি, পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের যাত্রা শুরু। বিজ্ঞান মঞ্চের মূল লক্ষ্য হলো জনগণকে বিজ্ঞান সচেতন করে তোলা।

দু’দশক ধরে ক্রমাগত সচেতনতামূলক নানান অনুষ্ঠান, হাতেনাতে বিজ্ঞান, প্রযুক্তির আধুনিক ব্যবহার, কুসংস্কার মুক্ত করার প্র‍য়াসে নানান ক্লাস ও সভার আয়োজন করা ইত্যাদির মাধ্যমে বর্তমানে এটি একটি শক্তিশালী কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। কালনা ব্লক ১,২ এবং পূর্বস্থলী ১,২ নিয়ে কালনা জোনাল কমিটির কাজ। এর বর্ত্মান সদস্য সংখ্যা ১৪৫০ এর ওপরে। এই কমিটি কালনার ৪ টি ব্লকে ৭টি ইউনিটে কাজ করে। এখানে ৩১টি ইকো ক্লাব ও জাতীয় সবুজ বাহিনী কাজ করে ধাত্রীগ্রাম, পূর্বস্থলী, সুলতানপুর, বাদলা, বৈদ্যপুর ও কালনা শহরে। এখান থেকে দুটি ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়- জনবিজ্ঞানের ইস্তাহার, এসময়ের কিশোর বিজ্ঞানী।

কালনা শহরের লক্ষ্মণপাড়ায় ৮ কাঠা জমি দান করেছিলেন প্রয়াত তুষার কুন্ডু মহাশয়, একটি স্থায়ী কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে। এখানে যে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলির ওপরে নজর দেওয়া হয় সেগুলি হলো – অচিরাচরিত বিদ্যুৎ শক্তির ব্যবহার, বিভিন্ন নতুন প্রযুক্তি বিষয়ক মডেল তৈরি, রান্নার কাজে ব্যবহৃত বর্জ্য থেকে উৎপন্ন গ্যাস। এখান থেকে বিজ্ঞান কর্মীরা বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কাছে বিজ্ঞানের বিষয়গুলিকে জনপ্রিয় করে তোলার যাচ্ছেন। কুসংস্কার থেকে মুক্ত করার প্রয়াসে তারা ব্রতী।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।