রাজ্য

জলপাইগুড়ি থেকে দিল্লি ও দক্ষিণ ভারত গামী ট্রেন চালুর দাবি ছাত্র যুবদের


দীপশুভ্র সান্যাল: চিন্তন নিউজ:-১২ই মার্চ:-
কুড়ি কোটি টাকা খরচ করে বিশ্বমানের স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলা হবে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন‌কে। মূলত কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ‌কে কেন্দ্র করে আরও নানাভাবে সাজিয়ে তোলা হবে এই স্টেশন‌কে।জলপাইগুড়ি‌তে এসে এই কথা জানান রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআর‌এম এসকে চৌধুরি। তিনি জানান, খুব শীঘ্রই এই রুটে রেলওয়ে ট্র‍্যাকের আপগ্রেডেশনের পাশাপাশি স্টেশনের প্লাটফর্ম বাড়ানো হবে। রবিবার জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন পরিদর্শন করেন তিনি। ছিলেন রেলের বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকরা। এনজেপি স্টেশনের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি রোড, টাউন স্টেশন, মালবাজার ও হলদিবাড়ি স্টেশন সহ বেশ কয়েকটি স্টেশনে অমৃত ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে। রেলের এই উন্নয়ন‌মূলক কাজের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ১ নম্বর গুমটি রেলগেট।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রেল মানচিত্রে বঞ্চিত জলপাইগুড়ি, এই দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন জলপাইগুড়ি জেলার বুকে আন্দোলন করেছে ডি ওয়াই এফ আই ও এস এফ আই।
রবিবার জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে ডিআরএমের প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গে ডিওয়াইএফআই জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক প্রদীপদের প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন রেল নিয়ে এস এফ আই ডি ওয়াই এফ এর দীর্ঘ লড়াইয়ের ইতিহাস আছে
জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে উত্তরবঙ্গ ও পদাতিক এক্সপ্রেস এর স্টপেজ এসএফআই ডিওয়াইএফআই এর আন্দোলনের ফসল। জলপাইগুড়ি শহরের ও সীমান্তবর্তী কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি ব্লকের বহু মানুষ প্রতিদিন জলপাইগুড়ি ৩ নাম্বার ঘুমটিতে আটকে থাকেন দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকে অ্যাম্বুলেন্স, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এর গাড়িও এই এলাকার জ্বলন্ত সমস্যা তিন নাম্বার ঘুমটি নিয়ে রেলের ভাবনা জানতে পারলে ভালো হতো। জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনের উন্নতি হোক কিন্তু মানুষের অসুবিধা করে ১ নাম্বার ঘুমটি কেন বন্ধ করা হবে? এর আগে ২ নাম্বার ঘুমটি বন্ধ হওয়ায় মানুষের তীব্র অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা না করে ১ নাম্বার ঘুমটির রেলপথ বন্ধ করা ঠিক নয়। বাংলাদেশ গামী মিতালী এক্সপ্রেসের জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে স্টপেজ জরুরী জলপাইগুড়ি ডিভিশনাল টাউন, বাংলাদেশের বহু মানুষ এখনো জলপাইগুড়িতে আসেন তাদের এনজিপিতে নামতে হবে কেন ? জলপাইগুড়ি থেকে নির্বাচিত সিপিআইএম সাংসদ মিনতি সেনের সময় জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন কে মডেল স্টেশন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, আমরা চাই এনজিপির ভার কমিয়ে জলপাইগুড়ি রোড ও টাউন স্টেশন থেকে দিল্লি ও দক্ষিণ ভারতগামী ট্রেন চালু হোক।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।